ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

তারার ফুল

অবশেষে শীর্ষে মিরান্ডা

জনি হক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৪
অবশেষে শীর্ষে মিরান্ডা মিরান্ডা ল্যাম্বার্ট

ঘটনাটা প্রত্যাশিতই ছিল। মার্কিন কান্ট্রি মিউজিককে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও উঁচুতে তুলে ধরার ক্ষেত্রে যার অবদান অনেক, সেই মিরান্ডা ল্যাম্বার্টের সাফল্যের ঝুড়িতে এতদিন মার্কিন টপচার্টের শীর্ষে ওঠার নজির ছিল না।

অথচ গ্র্যামিসহ কান্ট্রি মিউজিকের গুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য পুরস্কার ঘরে তুলেছেন তিনি। অবশেষে তার অতৃপ্তি ঘুচলো। ১৩ বছরের সঙ্গীতজীবনে প্রথমবারের মতো ইউএস বিলবোর্ড টপচার্টের শীর্ষস্থানের স্বাদ পেলেন মিরান্ডা। ৩০ বছর বয়সী এই গায়িকার পঞ্চম স্টুডিও অ্যালবাম ‘প্লাটিনাম’ এখন আছে এক নম্বরে। প্রকাশের প্রথম সপ্তাহে এর ১ লাখ ৮০ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে। ১৯৫৬ সালে বিলবোর্ডের পথচলার শুরু পর এখন পর্যন্ত আর মাত্র ১০ জন নারী কান্ট্রি সিঙ্গারের এমন অর্জন আছে।

গত ২৩ মে এটি বাজারে এনেছে ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রæপ। বিলবোর্ড কান্ট্রি অ্যালবামস চার্টেরও শীর্ষে আছে ‘প্লাটিনাম’। এর ‘অটোমেটিক’ ও ‘সামথিং ব্যাড’ গান দুটি সাড়া ফেলেছে বেশি।

তার পুরো নাম মিরান্ডা লেই ল্যাম্বার্ট-শেলটন। তিনি বেড়ে উঠেছেন টেক্সাসে। বাবা রিক ল্যাম্বার্ট ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। মিরান্ডার মা বেভারলির সঙ্গে মিলে রিক গড়ে তোলেন ব্যক্তিগত গোয়েন্দা সংস্থা। মিরান্ডা পরিবারে ছিল আইরিশ ও ভারতীয় সংমিশ্রণ।

মিরান্ডা যখন ষোড়শী, তখন টেক্সাসের আর্লিংটনে সঙ্গীত প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম 'জনি হাই কান্ট্রি মিউজিক রেভ্যু'তে অংশ নেন। তিনিশির ন্যাশভিলেতে একটি রেকর্ডিং সেশনে ডাক পেয়ে তিনি গিয়েছিলেন। কিন্তু হতাশা থেকে স্টুডিও ছেড়ে বেরিয়ে যান মিরান্ডা। কারণ পপ ধাঁচের গান উপস্থাপন করতে বলা হয়েছিল তাকে! ২০০০ সালে তিনি ফিরে যান টেক্সাসে। ঘরে ফিরে বাবার কাছে গিটার শেখার বায়না ধরেন। পাশাপাশি নিজেই গান লেখার চর্চা করতে থাকেন।

হাইস্কুলে অধ্যয়নকালেই দ্য টেক্সাস প্রাইড ব্যান্ডের সঙ্গে পেশাদারি সঙ্গীত জীবন শুরু করেন মিরান্ডা। এ ছাড়া টেক্সাসের লংভিউর রিও পাম আইজেলে গাইতে থাকেন। ওখানে এলভিস প্রিসলি, উইলি নেলসন ও ব্রæকস অ্যান্ড ডান ব্যান্ডের পথচলা শুরু হয়েছিল। পরের বছর নিজের নামে প্রথম একক অ্যালবাম বের করেন তিনি। তবে তার নাম ছড়াতে থাকে ২০০৩ সালে ‘ন্যাশভিলে স্টার’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর। ওই আসরে তৃতীয় হওয়া মিরান্ডাকে দলে ভেড়ায় এপিক রেকর্ডস। তার দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘কেরোসিন’ বের হয় এই প্রতিষ্ঠান থেকে। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি।

মিরান্ডা ল্যাম্বার্টের অ্যালবাম
* মিরান্ডা ল্যাম্বার্ট (২০০১)
* কেরোসিন (২০০৫)
* ক্রেজি এক্স-গার্লফ্রেন্ড (২০০৭)
* রেভোল্যুশন (২০০৯)
* ফোর দ্য রেকর্ড (২০১১)
* প্লাটিনাম (২০১৪)

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ

welcome-ad