অনেকের কাছে তিনি মিস রানী। এটা একটা নাটকের চরিত্রের নাম।
সালাহউদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক নাটক ‘আলতা সুন্দরী’ দিয়ে নজর কেড়ে, বোকাবাক্স মাতিয়েছেন আরও আরও নাটকে-বিজ্ঞাপনে। এটা চলবে। স্বর্ণার কথায়, ‘নাটকে অভিনয় কখনও ছাড়তে পারবো না। চলচ্চিত্রে যত ব্যস্তই হই না কেনো, নাটকও করবো। কারণ এটাও আমার কাজের বড় জায়গা। ’
আগামী শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ‘চিত্রনায়িকা’ রোমানা স্বর্ণার জন্মদিন। এই হিসেবে যে, ওইদিন তন্ময় তানসেন পরচালিত ‘রান আউট’ ছবির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ নায়িকা রূপে আবির্ভূত হচ্ছেন তিনি। ছোটপর্দার বড় তারকা সজলের নায়িকা হয়েছেন স্বর্ণা। এরই মধ্যে ট্রেলার ও গানের মাধ্যমে নায়িকা-উচিত যোগ্যতার জানান দিয়েছেন মিথুন রাশির এই অভিনেত্রী। ‘জানালা খুলে দাও’ নামের গানে সজল-স্বর্ণার রোমান্স চোখে পড়েছে অনেকেরই। জুটি হিসেবে যে ‘রসায়ন’ খোঁজেন দর্শক, সেটা অনেকখানিই মিলেছেন ভিডিওচিত্রটিতে।
রোমানা স্বর্ণা ছবিটি সম্পর্কে বললেন, ‘আমরা মজার ছলে শুটিং করেছি, সিরিয়াস কাজও হয়েছে হাস্যরসের মধ্য দিয়ে। কাজ করতে গিয়ে সবার সহযোগিতা পেয়েছি। তারিক আনাম খান, ওমর সানি, সজলের কাছে অনেক কিছু শিখেছি। ছবিটির গল্প গতানুগতিকতার বাইরে। আমার বিশ্বাস দর্শক এটি উপভোগ করবেন। ’
স্বর্ণা জানান, তাকে নিয়ে প্রথম ছবি তৈরি হয় ৭-৮ বছর আগে, বিনোদন অঙ্গনে তার যাত্রা শুরুর দিকে। ‘আউট অব দ্য বক্স’ নামের সেই ছবিটি আমেরিকার একটি উৎসবে অংশ নিয়েছিলো। কিন্তু ‘অজানা’ কারণে সেটি দেখতে পাননি দেশের দর্শক। নির্মাতা অনিকেত আলমের ওই ছবিটি আর কোনোদিন আলোর মুখ দেখবে বলে মনে হচ্ছে না। স্বর্ণা এ নিয়ে আশাও দেখেন না। ওটার পর ‘পদ্মপাতার জল’-এ এসে তিনি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বাঈজীরুপে পাওয়া গেল তাকে। স্বল্প সময়ের পর্দা উপস্থিতি, কিন্তু দর্শকের মনে প্রভাব ফেলেছেন ঠিকঠাক। এরপরই ‘রান আউট’।
ছবিটির মুক্তির দিন ‘রান আউট’-টিমের সঙ্গে থাকবেন স্বর্ণা। সিনেমা হলে ঘুরে ঘুরে ছবিটি দেখবেন তারা। দর্শকমহলে প্রচারের জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন টিভি ও এফএম রেডিওতে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন এই নায়িকা। ছবিটি নিয়ে অনেক আশাবাদী স্বর্ণা। চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবনা কী? উত্তরে বললেন, ‘এরই মধ্যে নতুন ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। আলাপ-আলোচনা চলছে। ভালো লাগলে করবো। ’ ছবির ধরণ যেমনই হোক, নিজের চরিত্রের গুরুত্ব বুঝেই অভিনয় করবেন স্বর্ণা, এমনটা জোর দিয়ে জানালেন।
‘আলতা সুন্দরী’ ছাড়াও আরও বেশকিছু ধারাবাহিকে কাজ করেছেন স্বর্ণা। কিছুদিন কাজ করেছেন ‘গুলশান এভিনিউ’ নাটকেও। ‘আউট অব দ্য বক্স’-এর জন্য নাটকে বেশি সময় দিতে পারেননি। কাজ করেছেন ‘ক্যাপসুল ৫০০ মিলিগ্রাম’, ‘টো টো কোম্পানি’ প্রভৃতি ধারাবাহিকেও। স্বর্ণার উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞাপনও কম নয়। এর মধ্যে অভিষেক হয়েছিলো প্রাণ টোস্ট বিস্কুট মুখে দিয়ে! এরপর গ্রামীণফোন, বসুন্ধরা, হোয়াইট প্লাস টুথপেস্টসহ বেশকিছু পণ্যের মডেল হন তিনি।
ক্যারিয়ারের শুরুতে দেশের বিভিন্ন বুটিকস হাউসেরও মডেল হন স্বর্ণা। সে সময়ে শহরের বিলবোর্ডে শোভা পেতো তার ছবি। ২০১২ সালে যেটা হলো, ভারতের কলকাতায় টিয়ারলেস নামের একটি হাসপাতালের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হন স্বর্ণা। কলকাতা শহরে তখন তার ছবি নিয়ে ঝুললো বিলবোর্ড। এটাকে বড় প্রাপ্তি হিসেবেই দেখছেন জনপ্রিয় এই অভিনত্রী। নিজের এখনকার কাজ বা অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্ট তিনি। তিনি মনে করেন ‘আউট অব দ্য বক্স’ নয়, ইন দ্য বক্স-এ আছেন তিনি। রানেই আছেন, আউট হননি। ‘রান আউট’ ছবিটি তাকে অনেক এগিয়ে দেবে বলে বারবার আত্মবিশ্বাস ঝরলো কণ্ঠে।
স্বর্ণাকে নিয়ে এই লেখা যখন শেষের দিকে তখন একটি কথা কানে বাজছে। ‘মিথুন রাশির মানুষদের মন ভালো হয়। কিন্তু সমস্যা একটাই, সবাই তাদের ভুল বোঝে। ’ তার এই দুটি বাক্যে স্পষ্ট যে, নানা সময়ে ‘ভুল বোঝার’ শিকার হয়েছেন। ব্যাপার না। এটা নিশ্চয়ই রাশির দোষ, ঠিক না স্বর্ণা?
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
এসও/জেএইচ