ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

তারার ফুল

রিয়াজের সঙ্গে কিছুক্ষণ

‘নোংরামি করে বুকিং এজেন্টদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়, মানুষের মনে জায়গা পাওয়া যায় না’

সোমেশ্বর অলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৬
‘নোংরামি করে বুকিং এজেন্টদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়, মানুষের মনে জায়গা পাওয়া যায় না’ রিয়াজ/ছবি: নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশজুড়ে মুক্তি পেয়েছে রিয়াজ অভিনীত ‘সুইটহার্ট’। দীর্ঘ বিরতির পর এ মাসেই ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবি নিয়ে আরও একবার প্রেক্ষাগৃহে হাজির হচ্ছেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা।

বিশেষ এই দিবস ঘিরে টিভিতেও থাকছেন রিয়াজ। বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি-

বাংলানিউজ: আপনার শেষ ছবি (লোভে পাপ পাপে মৃত্যু) মুক্তি পেয়েছিলো প্রায় দু’ বছর আগে। আজ ‘সুইটহার্ট’-এর মাধ্যমে আবার ফিরলেন রূপালি পর্দায়। আপনার ভক্তদের কাছে এ দিনটি স্মরণীয়।
রিয়াজ: এটা আমার কাছেও স্মরণীয়। এ দৃশ্যটা অবশ্যই আমার জন্য সুখকর। এ অনুভূতির তুলনা হয় না। আমি মনে করি, ভালো ছবির দর্শক সবসময়ই আছেন। আর ভক্তদের কাছে এটা কোনো বিষয় নয় যে, আমি কতো বছর পর ফিরেছি। আমার যারা ভক্ত, তারা সবসময়ের জন্য আমারই ভক্ত।   

বাংলানিউজ: আজ কোনো প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছেন ছবিটি দেখার জন্য?  
রিয়াজ: সত্যি বলতে কোনো হলে যেতে পারিনি। তবে খবর পাচ্ছি, সকাল ও দুপুরের শোতে বেশ ভালো দর্শক উপস্থিতি ছিলো। ছবিটি ব্যবসাসফল হওয়া দরকার এজন্য যে, এর গল্পটি মৌলিক।  

বাংলানিউজ: ‘সুইটহার্ট’-এর মূল নায়ক-নায়িকা (বাপ্পি ও মিম) কেমন করেছেন বলে মনে করেন?
রিয়াজ: আমি ছবিটিতে ছোট্ট একটি ভূমিকায় অভিনয় করেছি। পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমনের আন্তরিকতার কারণেই কাজটিতে রাজি হয়েছি। আমার পর্দা উপস্থিতি অল্প নাকি বেশি- সেটা দেখিনি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ছবিটিতে বিদেশি অভিনয়শিল্পী নেই। এটা বেশ স্বস্তিদায়ক ঘটনা। আমি সহশিল্পী হিসেবে আমার পাশে দেশি শিল্পীকেই চাই, সবসময়। কাজ করতে করতে এটুকু বুঝেছিলাম, ছবিটিতে বেশি কিছু নতুনত্ব থাকবে। গান ও ট্রেলার দেখে দর্শক সেটা বুঝেছেন। মিম ও বাপ্পি বেশ ভালো করেছে। ভালো কাজের প্রতি এই চেষ্টা ওদেরকে অনেকদূর নিয়ে যাবে।   
 
বাংলানিউজ: এ মাসেই আপনার আরেকটি ছবি (‘কৃষ্ণপক্ষ’) মুক্তি পাচ্ছে। আপনি কি মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে আপনার পুরনো জায়গা পুনরুদ্ধার হতে পারে? অথবা আপনি কী সেই চেষ্টা করছেন?
রিয়াজ: সত্যি বলতে, চলচ্চিত্রে আমার জায়গা যেমন ছিলো তেমনই আছে। আমার স্থান কেউ কখনও দখল করতে পারেনি, পারবেও না। কাজেই পুনরুদ্ধারের ব্যাপার নেই। আমি মনে করি- নোংরামি করে হলবুকিং এজেন্টদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কিন্তু মানুষের মনে জায়গা পাওয়া যায় না।  
 
বাংলানিউজ: আপনার হাতে নতুন ছবি নেই! এর অর্থ ‘সুইটহার্ট’ ও ‘কৃষ্ণপক্ষ’র পর আবার বিরতিতে যাচ্ছেন?
রিয়াজ: ‘সুইটহার্ট’ আর ‘কৃষ্ণপক্ষ’ দুটি দুই ধরনের ছবি। এগুলো নিয়ে আমি আশাবাদী। ‘কৃষ্ণপক্ষ’ সম্পূর্ণ অন্য ঘরানার ছবি। আমার খুব মনে হচ্ছে, এটাকে বিশেষভাবেই গ্রহণ করবেন দর্শক। কারণ দীর্ঘদিন এ ধরনের ছবি আসেনি সিনেমা হলে। ছবি দুটির মাধ্যমে আমি কিছু বিশেষ ধারণাও পেতে চাই। সেই ধারণা থেকেই পরের কাজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো। সত্যি বলতে, বছরে দু’ একটি ভালো মানের ছবি করবো, এটাই ইচ্ছে।     
 
বাংলানিউজ: দু’দিন পর ভালোবাসা দিবস। ব্যক্তি রিয়াজের কাছে ভালোবাসার সংজ্ঞা কী?
রিয়াজ: ভালোবাসার আসলে কোনো সংজ্ঞা হয় না। এটা একটা অনুভূতি। ব্যক্তি বিশেষে এই অনুভূতির পরিবর্তন ঘটে। তবে ভালোবাসার পূর্বশর্ত ভালো লাগা। ভালো না লাগলে ভালোবাসা হয় না, হতে পারে না…
 
বাংলানিউজ: আপনার রেস্তোরাঁ কেমন চলছে? ওখানে তো সময় দিতে হচ্ছে?
রিয়াজ: খুব ভালো চলছে। অামি প্রায়ই ওখানে যাই, সময় কাটাই। শুরুর দিকে যেমন করে চলা উচিত তেমন করেই চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৬
এসও/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ