বিভিন্ন সমস্যার কারণে এফডিসিতে শুটিং করতে আগ্রহী হন না অধিকাংশ চলচ্চিত্র পরিচালক। প্রায় একই খরচে তারা অন্য স্থানে কাজ করেন।
একাধিক চলচ্চিত্র পরিচালক জানিয়েছেন, এফডিসিতে ফ্লোর পেতে গেলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এর মধ্যে সংস্কারের অভাবে কাজের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে কিছু শুটিং ফ্লোর। আর খালিও পাওয়া যায় না। শিডিউল অনুযায়ী ফ্লোর পাওয়া অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। কয়েকটি ফ্লোরে এখন টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের শুটিং হয়। এর মধ্যে অন্যতম ৮ ও ৯ নম্বর ফ্লোর।
এফডিসির ফ্লোর বুকিং অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২, ৮ ও ৯ নম্বর শুটিং ফ্লোরগুলোতে আপাতত চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণ হচ্ছে না। কারণ ২ নম্বর ফ্লোরটিতে নিয়মিত শুটিং থাকে চ্যানেল আইয়ের। ৮ নম্বর ফ্লোরটি দুই বছরের জন্য দেওয়া হয়েছে এটিএন বাংলাকে। ৯ নম্বর ফ্লোরটি নিয়েছে এশিয়ান টিভি। এখানে তাদের নিজস্ব অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ চলে নিয়মিত।
ফ্লোরগুলো বছরের পর বছর বিভিন্ন চ্যানেলের কাছে বরাদ্দ দিয়ে রাখার কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক পরিচালক এখানে ছবির শুটিং করতে পারেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। প্রায়ই এমন ঘটে যে, চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণের জন্য ফ্লোরের জন্য ধরণা দিতে হয় চ্যানেলের কাছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য পাওয়া গেলো এফডিসি কর্তৃপক্ষের। এক কর্মকর্তা জানান, এসব শুটিং ফ্লোরের ভাড়া থেকে তাদের বেতন হয়। ফ্লোরে দিনের পর দিন শুটিং না থাকার চিত্রও বেশ পুরনো। এ অবস্থায় টেলিভিশনের কাছে ভাড়া না দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। জানা যায়, মিডিয়াকে শুটিং ফ্লোর ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৫ ভাগ বেশি চার্জ করা হয়।
এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার বাংলানিউজকে জানান, ২০০৬ সাল থেকে বিভিন্ন শুটিং ফ্লোর ভাড়া দেওয়া হচ্ছে টিভি চ্যানেলগুলোকে। চলচ্চিত্রের শুটিংকে প্রাধান্য দিয়েই ফ্লোরগুলো ভাড়া দেওয়ার চেষ্টা থাকে। নিয়মিত চলচ্চিত্রের শুটিং হবে- এমন নিশ্চয়তা না থাকায় একটি-দুটি শুটিং ফ্লোর সবসময়ই থাকে চ্যানেলের অধীনে। তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও অনেকে চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৬
এসও/জেএইচ