আপনি কি জানেন, সজল ভীষণ ঘুমপ্রিয়? গত বছর নিজের দ্বিতীয় ছবি ‘রানআউট’ মুক্তি পাওয়ার পর তার হাতে এসেছে ‘হারজিত’। এ নিয়ে এখন ব্যস্ত তিনি।
বাংলানিউজ: আগে যেমন ঈদে আপনার নাটক দেখা যেতো ভুরি ভুরি। গেলো রোজার ঈদে কিন্তু সেটা দেখিনি। টেলিভিশনে কাজ কমিয়ে দেওয়ার কারণ কী?
সজল: আসলে আগের মতো এখন আর তেমন ভালো গল্প আর চরিত্র পাই না। এখন পরিচালকরা যেসব গল্প দেন, সবই একরকম মনে হয়। নামেই শুধু পরিবর্তন দেখি। একইরকম গল্পে কাজ করলে কিছু শেখা যায় না। ভাবছি ভবিষ্যতে আরও বেছে বেছে কাজ করবো। এখন যেমন ভিন্ন গল্প হলে কাজ করি, আগামীতে গল্পের সঙ্গে লোকেশনেরও ভিন্নতাকে প্রাধান্য দেবো।
বাংলানিউজ: কোরবানি ঈদে কী কী কাজ করলেন?
সজল: জানেনই তো আগের চেয়ে কাজ কমিয়েছি। এবার আরও কম কাজ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আগে যেসব পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতাম তারা ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র বা গল্প নিয়ে এলে না করা যায় না। সব মিলিয়ে এবার ঈদে ছয়টি একক নাটক ও তিনটি পর্বনাটকে কাজ করেছি। ভিন্ন ভিন্ন পরিচালকের এসব নাটকে আমার সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা, সাদিয়া ইসলাম মৌ, তারিন, জাকিয়া বারী মম,মৌসুমী হামিদ, উর্মিলা, প্রভা, স্পর্শীয়া, কেয়া রহমান।
বাংলানিউজ: ‘রানআউট’-এর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আপনার জীবনে কী কী পরিবর্তন এনেছে?
সজল: আমি মনে করি, জীবনে প্রতিটি নতুন কাজ মানুষের মধ্যে পরিবর্তন এনে দেয়। ছোটপর্দার নিয়মিত অভিনেতা বড়পর্দায় কাজ করলে কিছু পরিবর্তন তো আসবেই। ‘রানআউট’-এর জন্য প্রশংসা আমাকে নতুন একটি ছবি এনে দিয়েছে। এখানে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা (মাহিয়া মাহি), পরিচিত পরিচালক (বদিউল আলম খোকন) আছেন। সব মিলিয়ে অবশ্যই ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
বাংলানিউজ: ‘হারজিত’ ছবির জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
সজল: ছবিটিতে নাচ, গান, মারামারি সবই আছে। এগুলোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে নাচ ও মারপিটের দৃশ্যের জন্য মহড়া করতে হচ্ছে। আগের ছবিতে (রানআউট) এসব দরকার হয়নি। তাছাড়া ‘হারজিত’ ছবিতে চরিত্রের প্রয়োজনে আমার লুকে কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছে।
বাংলানিউজ: এখানে আপনার চরিত্রটি কেমন?
সজল: চরিত্রটি একরোখা ধরনের। সে যা করতে চায়, তা-ই করে। মূলত এটি রোমান্টিক ও মারকুটে ধরনের ছবি। মাহি আর আমি এবারই প্রথম একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি।
বাংলানিউজ: শুটিং শুরু হবে কবে?
সজল: শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিলো এ বছরের মাঝামাঝি। নায়িকার বিয়েসহ কিছু কারণে শুটিং শুরু হতে দেরি হচ্ছে। তবে শিগগিরই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কাজ হবে বলে শুনেছি। কথা ছিলো দেশের বাইরেও শুটিং হওয়ার। কিন্তু তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলানিউজ: কাজ না থাকলে সময় কাটে কীভাবে?
সজল: ঘুমিয়ে দিন কাটে। আর কিছু করতে ইচ্ছে হয় না।
বাংলানিউজ: আপনি কি ঘুমপ্রিয়?
সজল: হ্যাঁ। আমি ভীষণ ঘুমপ্রিয়। এমনও হয়েছে একবার টানা ৭২ ঘণ্টা ঘুমিয়েছি। তখন শুধু খাওয়ার জন্য উঠেছি, খেয়ে আবার ঘুম!
বাংলানিউজ: সজলের কোন কোন ব্যাপারগুলো মানুষ জানে না?
সজল: একজন মানুষের সম্পর্কে সবকিছু জানা কি সম্ভব? অনেক সময় মানুষ নিজেকে নিয়েও মনে হয় সবকিছু জানে না। আমি খুব অগোছালো মানুষ এটা অনেকে জানে না। ঘরে মা না থাকলে বোঝা যায় আমি কতোটা এলোমেলো।
বাংলানিউজ: গান করবেন কখনও?
সজল: আমার মনে হয়, আমরা সবাই বাথরুমে কমবেশি গাই। তবে সবার সামনে গান গাওয়ার মতো সাহস আমার নেই।
বাংলানিউজ: পেন্সিল স্কেচ ভালো করেন শুনলাম। ওগুলো কি সংগ্রহে রাখেন?
সজল: ছোটবেলা থেকে আঁকাআঁকি করতে ভালো লাগে আমার। স্কেচিং শিখেছিও ছোটবেলায়। এখনও মাঝে মধ্যে আঁকি। আমার এসব স্কেচ মা যত্ন করে রেখে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৬
টিএস/জেএইচ