ঢাকা: এটিপি (অ্যাসোসিয়েশন অব টেনিস প্রফেশনালস) ওয়ার্ল্ড ট্যুরে দু’জন প্রথম মুখোমুখি হয়েছিলেন দশ বছর আগে। মাদ্রিদ ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে।
স্পেনের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে এগিয়ে থেকেও হেরে যান সেই সময়ের ১৯ বছরের ব্রিটিশ তরুণ মারে। ১-৬, ৭-৫, ৬-৩ গেমের জয়ে এই দ্বৈরথে পা রাখেন জোকোভিচ। বয়সে অবশ্য দু’জনই সমান। যদিও মারের দুই বছর আগে (২০০৩) পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সার্বিয়ান টেনিস আইকন।
টেনিস কোর্টের বাইরে কাছে বন্ধু ও নেটের দু’পাশের প্রতিদ্বন্দ্বী, মারে ও জোকোভিচ বছরের পর বছর স্মরণীয় সব লড়াই একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। সবগুলো গ্র্যান্ড স্লাম (৪টি), এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর মাস্টার্স (৯টি) ও মৌসুমের শেষ আসর ‘বার্কলেইস এটিপি ট্যুর ফাইনালস’ টুর্নামেন্টে দু’বার তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপভোগ করেছেন দর্শকরা।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এটিপি ম্যাচের মুখোমুখি লড়াইয়ে জোকোভিচের আধিপত্য স্পষ্ট। ৩৫ বারের দেখায় ২৪ ম্যাচেই শেষ হাসি নিয়ে কোর্ট ছাড়েন ১২ বারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী। ১১টিতে জয় পান মারে।
সে যাই হোক, ২০১৬ মৌসুমটা মারের জীবনে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ক্যারিয়ারের সেরা সময়ই পার করছেন রিও অলিম্পিক হিরো। গত মাসেই প্যারিস মাস্টার্স ইভেন্ট দিয়ে প্রথমবারের মতো র্যাংকিংয়ের চূড়ায় ওঠেন তিনবারের গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী। সবশেষ এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসের শিরোপা নির্ধারণীতে জোকোভিচকে সরাসরি সেটে হারিয়ে সেরার আসনে থেকেই মৌসুম শেষ করেন তিনি।
এক নজরে ২০১৬ সালের মারে-জোকোভিচ দ্বৈরথ (ইভেন্ট-বিজয়ী-স্কোর):
• এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস - অ্যান্ডি মারে ৬-৩, ৬-৪
• ফ্রেঞ্চ ওপেন - নোভাক জোকোভিচ ৩-৬, ৬-১, ৬-২, ৬-৪
• ইতালিয়ান ওপেন - অ্যান্ডি মারে ৬-৩, ৬-৩
• মাদ্রিদ ওপেন - নোভাক জোকোভিচ ৬-২, ৩-৬, ৬-৩
• অস্ট্রেলিয়ান ওপেন - নোভাক জোকোভিচ ৬-১, ৭-৫, ৭-৬ (৭-৩)
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৬
এমআরএম