নিষিদ্ধ ড্রাগের বিষয়ে আইটিএফ সাবধান করেনি বলেই দাবি ২৯ বছর বয়সী শারাপোভার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কেন কেউ আমার কাছে এগিয়ে আসেনি এবং ব্যক্তিগতভাবেও কথোপকথন করেনি।
‘আমি সবকিছুর উপর ক্লিয়ারেন্স পেয়েছিলাম যেটি (মেলডোনিয়াম) সাত বছর ধরে ব্যবহার করেছিলাম এবং আমি এ নিয়ে প্রসন্ন ছিলাম। ’-যোগ করেন শারাপোভা।
প্রথমে শারাপোভাকে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছিল টেনিসের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রত সংস্থা। এর বিরুদ্ধে করা আপিলের রায়ে গত বছরের অক্টোবরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমিয়ে ১৫ মাস নির্ধারণ করেন ক্রীড়া আদালত কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট (সিএএস)।
চলতি মাসেই শারাপোভার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। আগামী ২৯ এপ্রিল স্টুটগার্ট গ্র্যান্ড প্রিক্স টুর্নামেন্টে প্রত্যাবর্তন হবে রাশিয়ান টেনিস সুন্দরীর। গত বছরের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চলাকালীন ড্রাগ টেস্টে নিষিদ্ধ ড্রাগ মেলডোনিয়াম পজিটিভ প্রমাণিত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন পাঁচবারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী।
যদিও শারাপোভা দাবি করেছিলেন, চিকিৎসকের পরামর্শেই তিনি লাৎভিয়ায় তৈরি ড্রাগটি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করে আসেন। মেলডোনিয়াম ড্রাগটি যে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সে সম্পর্কে নাকি তিনি অবগত ছিলেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ১৪ এপ্রিল, ২০১৭
এমআরএম