ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

থাইল্যান্ড

সেবার মাধ্যমেই প্রবাসে বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন বাবুল

জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৬
সেবার মাধ্যমেই প্রবাসে বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন বাবুল

পাতায়া (থাইল্যান্ড) থেকে: থাইল্যান্ডের আলো ঝলমলে সৈকত শহর পাতায়া। সেই শহরে ঝলমলে এক বাংলাদেশির নাম বাবুল উদ্দিন (২৯)।

ভ্রমণ প্রিয় ভিনদেশিরাও বাংলাদেশকে চেনেন বাবুলের মাধ্যমে।

ব্যাংকক থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে। সমুদ্রতীরের ছিমছাম শহর পাতায়ায় দেশি বিদেশিদের ভ্রমণ সেবা দেন নোয়াখালীর ছেলে বাবুল উদ্দিন।

ভ্রমণের আসল মজা,পর্যটকবহুল স্থানে ভ্রমণপ্রিয় অতিথি সেবা, আন্তরিকতা আর সততা। অল্প দিনেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে আসে বাবুলকে।

মাত্র দু'বছরের মাথায় নিজের চেষ্টা,উদ্যাগ আর দূরদর্শিতায় বাবুল হয়ে ওঠেন ভিনদেশি পর্যটকদের আস্থা ও নির্ভরতার এক অনন্য ঠিকানা।

বাবুলের কথায়। ‘আমার কোন বিজ্ঞাপন দিতে হয় না। সততা আর সাশ্রয়ী পর্যটন সেবা,
এটাই আমার ব্যবসা সম্প্রসারণের মূলমন্ত্র।

একজনের মাধ্যমেই অন্যজন। এভাবে বাবুলকে ঘিরে রয়েছে অসংখ্য পর্যটকের বিশাল এক বলয় ।

নোয়াখালীর হাতিয়া থানার মধ্য সোনাদিয়া গ্রামের ছেলে বাবুল। বাবা কবির উদ্দিন। দুই ভাই,দুই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।

প্রবাসে থাকতেন বাবা। সে কারণে ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছা ছিলো প্রবাসে যাবার। তবে চাকরি নয়। লক্ষ্যটা ছিলো ব্যবসা করার।

চট্রগ্রামের বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করে দেশেই পর্যটনের প্রসারে শুরু করেন ব্যবসা।

সেই ধারাবাহিকতায় চলে আসেন ভ্রমনপ্রিয়দের স্বর্গরাজ্য থাইল্যান্ডে।

প্রথমে "এবিএম গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড" নামে এর অধীনে আরো তিনটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন তিনি।

এর একটি পাতায়ার সুকুম্ভিত ৫৩ সড়কে থাকা "সিয়াম হলিডেজ"। মূলত এই প্রতিষ্ঠানটির সেবার ধরণ আমূল বদলে দেয় বাবুলকে।

তার ভাষায় অসংখ্য পর্যটকের নির্ভরতা আর আস্থা আমার ওপর।

এখানে ভারত,মালয়েশিয়া,পাকিস্তান,লাওস,ভিয়েতনাম ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যসহ নানা দেশের পর্যটকরা তার সেবা নেন। এদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাটিই বেশি। এর বাইরে বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটকদের একটি বড় অংশই আস্থা রাখেন তার ওপর।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ট্যুরিজম ব্যবসা করে দেশের শীর্ষ পর্যটন প্রতিষ্ঠানও তাদের ব্যবসা পরিচালনা করেন বাবুলের মাধ্যমে।

এ ছাড়াও থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ফুটেক,পাতায়া,চ্যাংমাই,কোসামই, যেখানেই যেতে চান সাশ্রয়ী ও উন্নতমানের পর্যটন সেবা দিয়ে থাকেন বাবুল।

বাবুল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, আসলে অনেক ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান দেশ থেকে অতিথি নিয়ে আসেন। তাদের অন্ধের হাতি দেখানোর মতো কিছু স্পট ঘুরিয়ে দেখান। এতে ভ্রমণকারী না পায় ভ্রমণের স্বাদ। না পায় ভ্রমণের মজা।

আমরা ব্যতিক্রম। পর্যটকদের মূল্যবান অর্থ সাশ্রয় করে ভ্রমণকে আরো আনন্দময় করাই আমাদের লক্ষ্য। যার কারণে দিন দিন দেশ থেকে আসা অতিথিদের নির্ভরতাও বাড়ছে তার ওপর।

বাংলাদেশের পর্যটনকে এগিয়ে নিতে প্রবাসেও কাজ করছেন বাবুল। তিনি জানান,অনেক ভিনদেশি আমাদের মাধ্যমেই প্রিয় স্বদেশ ভ্রমণ করেন।

বাবুল জানান,বাংলাদেশি বলে আমি মনে করি বাংলাদেশের জন্যে কিছু একটা করা। পর্যটন ছাড়াও আনুষঙ্গিক সব ধরনের সেবা দিয়ে থাকি আমরা।

সাত মাসের সন্তান সিয়াম ইবনে বাবুল, স্ত্রী সানজিদা আফরিনকে নিয়েই থাইল্যান্ডের সুখের সংসার তার।

"আমি আমার কাজের মাধ্যমে এমন কিছু করতে চাই। যাতে মানুষ চেনে অন্য এক বাংলাদেশকে। দেশের ইমেজকে আরো তুলে ধরতে চাই। বিশ্বের কাছে উঁচু গলায় বলতে চাই অতিথিপরায়ণতায় এখনো শীর্ষে আমরা।

*কোন স্যাটার ডে, সান ডে নেই!


বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৬
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

থাইল্যান্ড এর সর্বশেষ