খাগড়াছড়ি: পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে প্রতি ঈদেই ছুটে আসেন দেশের হাজারো পর্যটক। খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ও জেলা পরিষদ পার্ক এবং রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালির আকর্ষণেই ছুটে আসতেন পর্যটকরা।
অন্যসময় জেলার আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ, জেলা পরিষদের ঝুলন্ত সেতু, রিছাং ঝরনা, তৈদু ঝরনাসহ কয়েকটি নান্দনিক ঝরনায় পর্যটকদের ভিড় থাকত। তবে ঈদে হাজারো পর্যটকে মুখর থাকলেও এখন স্পটগুলো স্থানীয় দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তারাই মূলত মুখর করে রেখেছেন।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক পিযুস কান্তি ত্রিপুরা বলেন, এবারে অধিকাংশ স্থানীয় পর্যটক। জেলার বাইরে থেকে আসা পর্যটক নেই বললেই চলে।
তবে সব সবকিছুকে ছাপিয়ে পর্যটকদের অপার আকর্ষণে টানে রাঙামাটি জেলার সাজেক উপত্যকা পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম। ঈদেও সেখানে হাজারো পর্যটকের ভিড় হবে বলে আশা করা হলেও এবার তা চোখে পড়ার মতো নয়। মন্দা ব্যবসায় হতাশ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সাজেক কাউন্টারের লাইনম্যান মো. আরিফ খান বলেন, আগে ঈদের পরের দিন থেকে দুই থেকে আড়াইশটি গাড়ী সাজেক যেত। কিন্তু এই ঈদে প্রতি গাড়িতে ১২ জন করে মোট ৫০টি মতো গাড়ি পর্যটক নিয়ে সাজেক গেছে।
তবে পর্যটকদের নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্ক রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। আর্থিক মন্দা ও অসহীয় গরমের কারণে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি বিমুখ হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
এডি/এএটি