পটুয়াখালী: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ও পর্যটন কেন্দ্র সাগরকন্যা কুয়াকাটা। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সৈকত থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুই-ই দেখা যায়।
পর্যটন এ নগরকে কেন্দ্র করে একের পর এক বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল গড়ে উঠতে শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় গত বছর ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করে সিকদার গ্রুপের থ্রি-স্টার মানের ‘সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাস’।
১০ একর জায়গার ওপর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সবুজের সমারোহে ঘেরা ‘সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাস’ বর্তমানে এখানে রয়েছে ৬ তলাবিশিষ্ট ভবন ও ১২টি ডুপ্লেক্স টাইপ ভিলা।
হোটেলের ভবনটিতে ১৭টি কক্ষের মধ্যে ৮ হাজার টাকা করে ৯টি ডিলাক্স (সৌখিন কক্ষ) রয়েছে এবং ১০ হাজার টাকা করে রয়েছে ৪টি সুপেরিয়র (উচ্চতর) কক্ষ। এর প্রতিটি রুমে রয়েছে কুইন বেড, সোফা ও রিডিং টেবিল। এছাড়া ১২ হাজার টাকা করে বাকী ৪টি প্রিমিয়ার রুম রয়েছে। এতে রয়েছে কিং সাইজ বেড, সোফা, রিডিং টেবিল, পার্সোনাল ডাইনিং স্পেস। আর প্রতিটি কক্ষের সঙ্গে বাথরুম তো রয়েছেই।
এছাড়া ১০টি ভ্যালির মধ্যে ৩২ হাজার টাকা করে প্রিমিয়ার ভিলা, সঙ্গে সুইমিং পুল ডুপ্লেক্স ভিলা/ ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে ৩টি। এতে রয়েছে একটি মাস্টার কিং ও একটি কুইন বেড এবং রান্নাঘরসহ বারন্দা। বাড়ির সীমানার মধ্যে ব্যক্তিগত সুইমিং পুল এবং ছাতাসহ টেবিল।
২৮ হাজার টাকা করে সুইমিং পুলবিহীন প্রিমিয়ার ভিলা/ ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে ৩টি। এতে রয়েছে একটি মাস্টার কিং ও একটি কুইন বেড, রান্নাঘর, বাড়ির সীমানার মধ্যে ছাতাসহ টেবিল ও বারন্দা।
এছাড়াও ২৪ হাজার টাকা করে বাকী ৪টি সুপেরিয়র (উচ্চতর) ভিলা/ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে। এতে রয়েছে ২টি কুইন বেড ও ১টি সিঙ্গেল বেড, রান্নাঘরসহ বাড়ির সামনে খেলার জায়গা ও বারান্দা।
পুরো হোটেলের কক্ষ ও বাড়িগুলো শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। এখানে মিলবে না কোনো ফ্যান/বৈদ্যুতিক পাখা। আধুনিক থিয়েটার সাউন্ড সম্বলিত একটি কনফারেন্স ও একটি মিটিং রুম রয়েছে হোটেল ভবনের দোতলায়।
সেখানে রয়েছে ২টি অভ্যর্থনা কক্ষ, একসঙ্গে ১২০ জনের খাবারের জন্য সু-বিশাল ডাইনিং রুম, মাস্টার কিচেনসহ ২টি অত্যাধুনিক কিচেন। যেখানে কন্টিনেন্টাল, থাই, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান ও পিওর বাংলা খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও কফিসপ ও ক্যান্টিন তো রয়েছেই, যেখানে কফি, আইসক্রিমসহ স্ন্যাকসের নানা আয়োজন রয়েছে।
মূল ভবনের সামনেই রয়েছে একটি সুইমিং পুল, ভবন থেকে বের হয়ে বাম দিকে রয়েছে ইলেক্ট্রিক ফোয়ারা, তারপাশেই লেক, লেকের পাশে বসার জায়গা, যেখানে বসে কিংবা লেকের পাড়ে হাঁটাচলা করার সময় স্বচ্ছ পানিতে মাছের চলাচল মুগ্ধ করবে। লেক পার হয়ে ওপারে যেতেই হাতের বামে রয়েছে হ্যালিপ্যাড, হাতের ডানে রয়েছে ফুল ও ফলের বাগান। বাগানে ও লেকের পাশে হাঁটার জন্য তৈরি করা হয়েছে ওয়াকওয়ে। লেকের পাড়সহ পুরো রিসোর্ট এলাকা জুড়ে রয়েছে ৪টি বারবিকিউ প্লেস।
রিসোর্টের সামনের বা মূল ফটক পার হতেই কুয়াকাটার সংরক্ষিত ইকো পার্ক আর তার পরেই সু-বিশাল সৈকত।
সার্বিক সেবার বিষয়ে ‘সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাস’ এর ম্যানেজার (অপারেশন) মো. আল আমিন খান আপন বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমত সেবার শুরুতে যাত্রীদের বিলাসবহুল, আরামদায়ক থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় হোটেলে ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাসহ এএসএফ-এর সিকিউরিটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাস’ কম্পাউন্ডের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে অতিথিদের বসার জায়গা এবং গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা। আলোকসজ্জাসহ পুরো সাজসজ্জা দেখলে মনে হবে পরিকল্পিত কোন নগরী।
তিনি জানান, বিশেষ বিশেষ সময় ও দিনে বিশেষ বিশেষ অফার দিয়ে থাকে ‘সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাস’। এছাড়া নতুন আরো একটি ভবনের কাজও এগিয়ে চলেছে।
বিশেষ অফার ও বিশেষ ছাড়ের খবর কিংবা বুকিং দিতে www.sikderresort.com সাইটটি ভিজিট করার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৬।
এমএস/আরএ