ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

ফজলির কেজি ৫ টাকা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৮
ফজলির কেজি ৫ টাকা! ক্রেতার পছন্দের আম মাপছেন মানিক; বিক্রির জন্য আনা ঝুড়িভর্তি ফজলি আম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে: মধুমাস জৈষ্ঠ্যের অর্ধেক পেরিয়েছে। সে হিসেবে পাকা আম নিয়ে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার হাঁকডাক থাকার কথা। কিন্তু আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখনও মিলছে কাঁচা আমই। আর পাকা আম না পেয়ে কাঁচা আমেই যেন মজেছেন চাঁপাইবাসী!

বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দুপুরের একটি চিত্র ঠিক এমনটিই জানান দেয়। নইলে আমের ভ্যান দেখে ‘তারা’ ছুটবেন কেন।

দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি আমের বাজার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে গিয়ে দেখা যায়, যেখানে আমের মূল বাজার বসে তা খাঁ খাঁ করছে। দু’একটি গৃহপালিত প্রাণী ছাড়া আরে কিছুই নেই দৃষ্টিসীমায়। হঠাৎ ভ্যানে করে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের আগমন, তাতে দু’টি ঝুড়িতে আম।

তা দেখেই কোথা থেকে যেনো কয়েকজন ছুটে এলেন। কাছে গিয়ে জানা গেলো তাতে ঝড়ে পড়া ফজলি আম বাগান থেকে সংগ্রহ করে বাজারে এনেছেন মানিক। দাম প্রতি কেজি ৫ টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ গোলাম নবী আরেকটু কমিয়ে আম কিনতে চাইলেন। কিশোর মানিক তাতে রাজি না হওয়ায় এতো আমের ভিড়ে পছন্দনীয় আম বাছতে শুরু করলেন এ ক্রেতা। এক পর্যায়ে তার আমের পরিমাণ দাঁড়ালো ১০ কেজির বেশি। পুরোটাই নিলেন। অবস্থা এমন চাহিদামতো দাম হলে পুরো দুই ঝুড়ি আমই নিয়ে নিতেন। ফজলি আমএ ক্রেতার চাহিদা শেষ হওয়ার পর বিক্রেতা মানিকের মনোযোগ আকর্ষণ করে দুই কেজি আম নিলেন রোকন নামের আরেক ক্রেতা। চারটি আমেই দুই কেজি, মানে প্রতি পিস আড়াই টাকা। সস্তা হওয়ায় মধ্য বয়সী এক নারীও নিলেন পাঁচ কেজি আম। এখানে ক্রেতার চাহিদা শেষে করে একটু তাড়াহুড়ো করে স্থান ত্যাগ করলেন মানিক। যেনো সামনে অন্য লোকজন আমের অপেক্ষায় রয়েছে।

মানিক জানান, গত দুই তিনদিনের ঝড়ে আমগুলো পড়েছে। তাই বিক্রি করতে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের নিজস্ব আম বাগান রয়েছে। যা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরিপক্ক হলে বাজারে উঠানো হবে।

আর অপেক্ষার পালা দীর্ঘ করে ততদিন পর্যন্ত কাঁচা আমেই মজতে হচ্ছে চাঁপাইবাসীকে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৮
জেডএস
.

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।