ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বাণিজ্যমেলা

মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৪
মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলা শুরু ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শুরু হলো ১৯ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০১৪। শনিবার বেলা ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



এর আগে উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২৬ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে সবসময় সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। আরও কিছু সুবিধা তারা পাবেন। নতুন সরকার গঠনের পর এটি পাবেন তারা। চলতি অর্থবছরে ৩০.৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবো।

দেশের স্বার্থে রপ্তানিপণ্যে মান বজায় রাখাসহ শ্রমিকদের স্বার্থের দিকেও খেয়াল রাখার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রতিবছর ১ জানুয়ারি শুরু হলেও উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিবেশ ও ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ১০ দিন পর এ বাণিজ্যমেলা শুরু হলো। মাস ব্যাপী এ মেলা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। মেলার প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জনপ্রতি ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।

এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, ইরান, চীন, মালয়েশিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক ও সিংঙ্গাপুরসহ ১২টি দেশের পণ্য প্রদর্শিত হবে। বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের জন্য এবারও আলাদা জোন করা হয়েছে।

মেলায় প্যাভেলিয়ন, প্রিমিয়ার প্যাভেলিয়ন, মিনি প্যাভেলিয়ন, সাধারণ স্টল ও রেস্টুরেন্ট থাকবে। বিভিন্ন স্টলে রকমারি সরঞ্জাম, কসমেটিক সামগ্রী, স্টেশনারি, ইলেকট্রনিক পণ্য, পাটজাত পণ্য, কার্পেট, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা, জুয়েলারি, খেলনা, সিরামিকস পণ্য, মেলামাইন বস্ত্র, আসবাবপত্র, হস্তজাত তৈজসপত্রসহ নানা ধরনের পণ্য প্রদর্শিত হবে।

বাণিজ্যমেলায় লে-আউট প্ল্যান অনুযায়ী বরাদ্দের প্রদানযোগ্য স্থাপনার সংখ্যা ৪৭১টি। এদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভেলিয়নের সংখ্যা ৯৬টি, মিনি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৪৯টি, স্টলের সংখ্যা ৩১৬টি এবং রেস্তোরাঁ ১০টি।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে শেরে-বাংলা নগর আন্তর্জাতিক মেলাপ্রাঙ্গণে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ মেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ লাখ দর্শনার্থী মেলায় আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যসচিব।

তিনি আরও জানান, প্রত্যেক প্যাভিলিয়নে ও স্টলে নির্ধারিত সংখ্যক অগ্নি-নির্বাপণযন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্য বছরের চেয়ে এবার মেলায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সরকারি আইন-শৃঙ্খলার পাশাপাশি বিজিবি ও বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত থাকবে। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে ১২০টি সিসিটিভিসহ আধুনিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হবে।

এ ছাড়া খাদ্যদ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের আলাদা বুথ এবং মেলায় ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, দেশে পণ্য ও সেবা প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় আসর হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। গেল বছর বাণিজ্য মেলায় মোট স্টল ছিল ৫০৬টি। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ১২টি দেশের ৩১টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের প্রদর্শনী করে। গত বছর ২০১৩ সালের মেলা থেকে ১৫৭ কোটি টাকার রফতানির আদেশ পাওয়া গিয়েছিলো।

কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই শুরু হচ্ছে বাণিজ্য মেলা

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৪
সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।