ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

মেলায় একসঙ্গে সার্কাস ও পুরস্কার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৪
মেলায় একসঙ্গে সার্কাস ও পুরস্কার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ১৪ নম্বর প্রিমিয়াম প্যাভিলিয়নের সামনে একদিকে দর্শনার্থীদের অবিরাম সার্কাস দেখাচ্ছেন পলক, ফিরোজ ও পারভেজ। অন্যদিকে প্যাভিলিয়নের ভেতর থেকে পণ্য কিনে পুরস্কার জিতে নিচ্ছেন ক্রেতারা।


 
মেলার দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের জন্য পুরস্কারের পাশাপাশি বিনোদনের এমন আকর্ষণীয় সুযোগ নিয়ে এসেছে আবুল খায়ের গ্রুপ।
 
মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সহজেই নজর কাড়ছে সার্কাস পার্টি। দলনেতা পলক পায়ের সঙ্গে লম্বা কাঠ বেঁধে হেঁটে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে এক চাকায় সাইকেল চালাচ্ছেন ফিরোজ। তাদের সঙ্গে রয়েছে কিশোর পারভেজ। যার হাতে অবিরাম চলছে তিন কাঠের ও তিন বলের নজরকাড়া সার্কাস। মাঝে মাঝে ফুটবল নিয়েও খেলা দেখাচ্ছে পারভেজ।
 
পলক বাংলানিউজকে জানান, দুই লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের নিয়ে এসেছে আবুল খায়ের গ্রুপ। মেলায় তারা মাসব্যাপী সার্কাস দেখাবেন।
 
সার্কাস পার্টির খেলা দেখতে তাদের পিছু পিছু ছুটে আসা হাসান (১২) বলেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে। বিশেষ করে লম্বা মানুষটির (পলকের) হাঁটা। ও খুব মজা করে হাটছে। ’
 
আর এক দর্শনার্থী সুমি বলেন, ‘দেখছেন ওই ছোট ছেলেটা (পারভেজ) কিভাবে দুই হাতে তিনটি লাঠি নিয়ে খেলা করছে। ওর খেলা দেখতে আমার বেশ ভালো লাগছে। ’
 
মেলায় ১৪ নম্বর প্যাভিলিয়নে আবুল খায়ের অ্যান্ড কোম্পানির ডিভিশনাল মার্কেটিং ইনচার্জ সাজ্জাদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দর্শনার্থীদের শুধু বিনোদনের জন্যই আনা হয়েছে সার্কাস পার্টিতে।

প্রতিবারই আবুল খায়ের গ্রুপ মেলাতে ভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার সার্কাস পার্টির পাশাপাশি প্যাভিলিয়নের ভেতরেই শিশুদের জন্য নাগরদোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
 
সার্কাসের জন্য দর্শনার্থীদের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে না। তবে নাগরদোলায় উঠতে হলে প্যাভিলিয়ন থেকে কমপক্ষে ১০০ টাকার প্যাকেজের পণ্য কিনতে হবে।
 
বিনোদনের পাশাপাশি ক্রেতাদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থাও করেছে গ্রুপটি। ১৬০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকার বিভিন্ন প্যাকেজ কিনলেই ক্রেতারা পাবেন নিশ্চিত পুরস্কার।
 
ক্রেতাদের জন্য ১৪ ইঞ্চির কালার টেলিভিশন, রাইস কুকার, ডিভিডি প্লেয়ার, ফ্রাইপেনসহ রয়েছে মোট ১০ রকমের পুরস্কার।
 
প্যাভিলিয়ন থেকে পণ্য কিনে ফেরার পথে রহিমা বেগম বলেন, আমার ভাগ্য খারাপ। তাই ভালো পুরস্কার পাইনি। পেয়েছি প্লাস্টিকের বোল। মার্কস দুধ ও সিলনের চা কিনেছেন বলে জানান রহিমা বেগম।
 
আবুল খায়ের অ্যান্ড কোম্পানির ডিভিশনাল মার্কেটিং ইনচার্জ সাজ্জাদুর রহমান জানান, প্যাভিলিয়নের ভিতরে মার্কস ও স্টারশিপের ‍দুধ এবং সিলনের চা সহ ৫ ধরনের পণ্য বিক্রয় হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।