ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্য মেলা

শেখ নাসির হোসেন ও সাইদ শিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৪
ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্য মেলা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে চতুর্থ দিনেই জমজমাট হয়ে উঠেছে ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। সরকারি ছুটির দিন থাকায় মেলায় দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে।



মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে অংশগ্রহণকারী স্টকগুলোর বিক্রির পরিমাণও। তবে নারীদের ব্যবহার সামগ্রীর এবং শিশুদের খেলনার দোকানগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

অধিকাংশ খেলনা ও নারীদের ব্যবহার সামগ্রীর স্টল ও শিশুদের খেলনার দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ে তিল ধারণের ঠাই নেই এমন চিত্রই লক্ষ্য করা গেছে মেলা প্রাঙ্গণে।

ক্রেতাদের এমন সমাগমে যারপরনায় খুশি বিক্রেতারা। তাদের দাবি এবার মেলার শুরুতেই যে হারে বিক্রি বেড়েছে তা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিক্রির পরিমাণ আরও বাড়বে আশা প্রকাশ করেন বিক্রেতারা।

শিশু খেলনা ও নারীদের ব্যবহার সামগ্রীর বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আরাফাত এন্টারপ্রাইজের বিক্রয় প্রতিনিধি মো. কবীর বাংলানিউজকে বলেন, চতুর্থ দিনের বিক্রয়ে আমরা বেশ খুশি। অন্যবারের চেয়ে এবার শুরুতে বিক্রির পরিমাণ বেশ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দোকানে প্রধানত শিশুদের খেলনা এবং নারীদের সাজগোজের সামগ্রী বিক্রয় হচ্ছে। এর মধ্যে নারীদের চুরি ও চুলের খোপা, নেলপলিশ, কানের দুল বিক্রি হচ্ছে বেশি। পাশাপাশি শিশুদের খেলনাও বিক্রির পরিমাণ বেশ ভাল। এর মধ্যে খেলনা পিস্তল, ডেমিন কার্ড, খেলনা সাইকেল, রিমোট কন্ট্রোল হেলিকপ্টার ও রেসিং কার বেশি বিক্রি হচ্ছে।

শিশুদের খেলনার মধ্যে সর্বনিম্ন ১০০ টাকায় ফিকশন কার এবং সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকায় রিমোট কন্ট্রোল হেলিকপ্টার বিক্রি হচ্ছে।

স্বর্ণলতা এন্টারপ্রাইজের বিক্রেতা মো. মহসিনের কাছে বিক্রির পরিস্থিতি জানতে চাইলে হাসিমুখে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভাই আজকের (মঙ্গলবার) বেচাকেনা খুব ভাল। গত তিনদিন তেমন বিক্রি করতে পারিনি। তবে আজ যা বিক্রি হয়েছে তা গত তিন দিনের লোকসান পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

মহসিন আরও জানান, আমাদের দোকানে প্রধানত ক্যাটবেরি, বিভিন্ন প্রাণীর কুশন পুতুল বিক্রি করা হচ্ছে। এরমধ্যে কুশন পুতুল সর্বনিম্ন ১৫০ এবং সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, মেলায় আশা দর্শনার্থীরাও পণ্যের মূল্যে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে টিকিটের মূল্য বাড়ায় কেউ কেউ কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

সরেজমিনে ঘুরে মেলা প্রাঙ্গনের প্রতিটি রাস্তা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শনার্থী দেখা গেছে। সেই সঙ্গে রাস্তার কিছু কিছু বাকে প্রচণ্ড ভিড়ে মানুষের স্বাভাবিক বাধাগ্রস্থ হতে দেখা গেছে।

রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে আসা ক্যামব্রিয়ান কলেজের শিক্ষার্থী নিলীমা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় বান্ধবীদের নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছি। সবাই মিলে একই রঙের কানের দুল ও মাথার ব্যান্ড কিনেছি। মেলার ভিড় দেখে খুব ভাল লাগছে। আসলে ভিড় না হলে তো মেলা জমে না।

পরিবার নিয়ে মেলায় ঘুরতে আসা মিরপুরের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, মেলায় সবাইকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। দুই সন্তানের জন্য কিছু কেনাকাটা করেছি। তবে মেলায় ঘুরে বিভিন্ন পণ্য দেখাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, গত বারের চেয়ে মেলায় প্রবেশ মূল্য এবার বাড়ানো হয়েছে।

দুই সন্তানসহ পরিবারের সবাই মিলে একদিনে মেলায় প্রবেশ করতে ১৬০ টাকার টিকিট কিনতে হয়েছে।

এছাড়া সন্তানদের বায়না মেটাতে বিভিন্ন খরচ তো রয়েছেই। এতে করে সপরিবারে একাধিকবার মেলায় আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের বাণিজ্য মেলায় প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৩০ টাকা ও শিশু সন্তানের জন্য ২০ টাকা করে প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৪
সম্পাদনা: তমাল আবদুল কাইয়ূম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।