ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বাণিজ্যমেলা

মেলায় ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৪
মেলায় ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২০তম দিন বৃহস্পতিবার বিকেল গড়াতেই দর্শনার্থীদের ঢল নামতে থাকে। মূলত সকাল থেকে বেলা সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তেমন কোনো দর্শনার্থী না থাকলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগেই দর্শনার্থীতে পূর্ণ হয়ে যায় মেলা প্রাঙ্গণ।


 
মেলায় ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি বলে মনে করেন বিভিন্ন স্টল মালিক-কর্মচারীরা। তাদের দাবি, মেলায় বেচাকেনা কম হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণে সন্ধ্যার পর প্রচুর দর্শনার্থী আসছে কিন্তু তার ভেতর ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। সবাই এসে পণ্য দেখছে কিন্তু ক্রয় করছে খুব কম সংখ্যক ক্রেতা। ফলে বড় ধরনের লোকসানে পরার আশঙ্কা করছেন এসব মালিক-কর্মচারীরা।
 
ইরানি প্যাভিলিয়নে ক্রোকারিজ সামগ্রী বিক্রেতা তাহসিম জানান, সবাই শুধু পণ্য দেখে দাম জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু সে তুলনায় বিক্রি হচ্ছে অনেক কম। মেলার শেষ ভাগেও যদি বিক্রি এভাবে চলতে থাকে তাহলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পরতে হবে।
 
তবে তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, তাদের পণ্য দেখে অনেকে পছন্দ করছেন। কিনতে না পারলেও দর্শনার্থীদের কাছ থেকে অনেক সুনাম পাওয়া যাচ্ছে। এখান থেকে কিনতে না পারলেও অনেকে মেলা শেষে বাজার থেকে তাদের পণ্য কেনার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
 
সোনেক্স স্টলে অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী দেখছেন মৌচাক থেকে আগত সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, বাসার জন্য অনেক ক্রোকারিজ সামগ্রী কেনা দরকার। অন্য স্টলগুলো থেকে বেশ কিছু কিনেছেন তিনি। কিন্তু সঙ্গে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় পণ্যগুলো দেখেই চলে যেতে হচ্ছে। তবে এগুলো বাজার থেকে কেনার ইচ্ছা আছে তার।
 
দর্শনার্থীদের সমাগমে মেলার প্রবেশ পথে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়েছে। মেলার ভেতর প্রবেশের পর শিমুল জানান, সকালে আব্বু-আম্মুর অফিস থাকায় তাদের বিকেলেই মেলায় আসতে হয়েছে। তারা আজ মেলার শেষ সময় পর্যন্ত বিভিন্ন স্টল ঘুরে পণ্য দেখবে।
 
ইরানি প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থী আসমা খাতুন জানান, সকালে অফিস ও বাচ্চাদের স্কুল থাকায় বিকেলেই মেলায় এসেছেন। তাছাড়া ছুটির দিনে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে মেলায় আসা বেশি নিরাপদ বলেও মনে করেন তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।