ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

পণ্য প্রদর্শন না হকার প্রদর্শন মেলা!

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৪
পণ্য প্রদর্শন না হকার প্রদর্শন মেলা!

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: সরকারি ছুটিরদিন হওয়ায় মেলায় পারিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন ব্যবসায়ী মো. সেলিম। তবে মেলায় প্রবেশের পর এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা তার।

হকার আর ছিন্নমূল ছেলে মেয়েদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ তিনি।
 
মেলার বটগাছ তলায় বিশ্রাম নিতে গিয়ে নিজের বিরক্তের কথা প্রকাশ করলেন এভাবে ‘এটা পণ্য প্রদর্শন না হকার প্রদর্শনের মেলা’ কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। মেলা প্রাঙ্গণে এখন স্টলের চেয়ে হকার ও ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা বেশি! কোথাও গেলে স্যার এটা নেন, ওটা নেন।

ছিন্নমূল মানুষরা এসে হাত ধরে টানাটানি করে বলছে স্যার ১০টা টাকা দেন দুপুরে খামু। মেলায় এসে হকার ও ছিন্নমূলদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ আমি। বলেন মো. সেলিম।
 
তিনি এ সময় মেলা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, তারা সঠিকভাবে কাজ করছেন না অথবা টাকার বিনিময়ে এদের মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করানো হচ্ছে। ফলে মেলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলেতে থাকলে ভদ্র মানুষ মেলায় আসা বন্ধ করে দেবে।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলা প্রাঙ্গণের সব জায়গায় হকারে পরিপূর্ণ। বিশেষ করে বাদাম, চিপস, পেয়ারা, আইসক্রিম, প্লাস্টিকের ফুল, শিশুদের খেলনা নিয়ে কয়েকশো হকার মেলায় ঢুকে বিক্রি করছে দেদারছে। তবে বিষয়টি দেখার কেউ নেই।
 
এ বিষয়ে আয়োজক প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান সুভাশীষ বসু বলেন, মেলায় কীভাবে হকার ঢুকছে তা আমাদের দেখার বিষয় না। এর জন্য পুলিশ আছে। তারা ব্যবস্থা নেবে। আর যদি হকার ঢোকে তবে তার জন্য গেট ইজারাদাররা দায়ী। কারণ তারাই গেটে থাকেন। আমরা গেটে থাকি না। সুতরাং কে ঢুকছে বের হচ্ছে তা দেখার বিষয় আমাদের না।
 
হকারদের মেলা প্রঙ্গণে দেদারছে পণ্য বিক্রির বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না স্টল মালিকরাও। তাদের অভিযোগ, হকারদের প্রবেশ ঢুকতে দেওয়ায় অনেক দর্শনার্থী স্টলে এসে পণ্য কিনছেন না। ফলে লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের।
 
দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা মেলা প্রাঙ্গণ থেকে নামমাত্র কয়েকজন হকারকে বের করে দিলেও আবারও ঢুকছে এসব হকার। পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ মেলা প্রাঙ্গণের কোনো একদিক থেকে বেস্টনী ভেঙে এসব হকার মেলায় ঢুকছে।
 
কয়েকজন হকারের  সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকে পণ্য বিক্রি করতে তাদের প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। পণ্যের উপর নির্ভর করে টাকার অংক।

মেলায় দায়িত্বরত উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, মেলায় যাতে হকার বসতে না পারে সে জন্য অভিযান প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ জন হকার থানায় চালান করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।