ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় (ডিআইটিএফ) ঘটেছেও তাই। নানা উপাদান আর স্বাদের আচার নিয়ে বাহারি সব উপস্থাপন এনেছে কাশ্মীরি আচার অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যতিক্রমধর্মী আর ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের আচারে সবারই যেন জিভে জল আসার জোগাড়। ক্রেতারা স্টলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ঢু মারছেন। আর এত প্রকার আচারের পসরা দেখে একটা না একটা কিনছেনই। এতে প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়, জিভে জল আসছে।
২৪টির বেশি প্রকারের আচার এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। দাম ২শ’ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি। তবে দামের দিকে ক্রেতাদের তেমন নজর দেখা যায়নি। বরং অনেকটা কাড়াকাড়ি করেই কিনছেন তারা।
সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা গেছে করলা ও খেঁজুরের আচারে। ক্রেতা-দর্শনার্থী যারাই আসছেন-এই দুই প্রকারের আচার পরখ করে দেখছেন এবং কিনে নিচ্ছেন।
আফসানা রহমান নামের এক গৃহিণী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পরিবারের সবাই আচার খুব পছন্দ করে। আর করলা কিংবা খেজুরের আচারের নাম কোনোদিন শুনিনি। তাই এ দুই প্রকার আচার এক কেজি করে নিয়ে নিলাম। করলার আচার! শুনতেই তো কেমন অদ্ভুত লাগে! তবে এরা ভালই বানিয়েছে।
কাশ্মীরি আচার অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টের বিক্রয় কর্মী মোহাম্মদ মহসীন আলী বলেন, করলা এবং খেজুরের আচারে আগ্রহ বেশি। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের কেজি প্রতি দাম গুণতে হচ্ছে যথাক্রমে ৪শ’ থেকে ৬শ‘ টাকা। এছাড়া রসুনের আচার ৮শ’ টাকা, ঝাল-মিষ্টি চালতার আচার ২শ’ এবং আলুবোখারার আচার ৮শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এগুলোও বেশ চলছে।
অন্যদিকে করমচা আচার ৬শ টাকা, কাশ্মীরি আমের আচার ৬শ’ টাকা, তেঁতুলের আচার ৪শ’ টাকা, বড়ুই এর আচার ২শ’ টাকা, টক আমের আচার ৪শ’ টাকা, টক জলপাইয়ের আচার ৪শ’ টাকা, টক-মিষ্টি চালতার আচার ৪শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার আমলকীর মোরব্বা ৬শ’ টাকা, আমড়া মোরব্বা ৬শ’ টাকা,
টক-মিষ্টি জলপাই আচার ৪শ’ টাকা, টক-মিষ্টি আমড়ার আচার ৪শ’ টাকা এবং টক আমলকির আচার ৬শ’ টাকা দরে কিনছেন ক্রেতারা।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি আরো ৭০ প্রকারের আচার বিক্রি করে। যা হোম ডেলিভারিতেও দেওয়া হয়। আর তা একদমই বিনামূল্যে। অনলাইনে অর্ডার নেওয়ার ব্যবস্থাও রেখেছে এরা। এক্ষেত্রে www.kashmiriacharbd.com ওয়েব ঠিকানায় যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
ইইউডি/আরআই