ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বাণিজ্যমেলা

‘বাণিজ্যিক আড্ডায়’ জমজমাট মেলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
‘বাণিজ্যিক আড্ডায়’ জমজমাট মেলা আড্ডায় জমজমাট মেলা, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: আড্ডাপ্রিয় বাঙালি বাণিজ্যমেলাতেও তুঙ্গে; জমজমাট আড্ডায় মেলার বিভিন্ন বসার প্রান্ত মাতিয়ে রেখেছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। আর তাদের আড্ডার প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে মেলাকেন্দ্রিক বাণিজ্য।

রাজধানীতে চলছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) মেলা ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।

মেলার মূলগেট দিয়ে প্রবেশের পর কিছুটা সামনে টাওয়ারের নিচে ও মেলার বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে বসার স্থান। যেখানে বসার জন্য একটুও ফাঁকা নেই। বরং ভিড় লেগে আছে বসার জায়গার আশপাশেও। এমনকি বসার স্থানটি দখল করতে অনেকের মধ্যে প্রতিযোগিতাও দেখা গেছে।

এসব বসার স্থানে চলছে তুমুল আড্ডা। ছোট-বড় মানুষের ভেদাভেদ নেই যেখানে। মেলাতে কে কী কিনলো, কতো লাভ হলো কিনে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা আড্ডাতে।

ধানমন্ডি থেকে মেলায় আগত রুমি নামের এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় ঢুকেই প্রথমে বিদেশি স্টলগুলোর দিকে গিয়েছিলাম। এখন অন্যদিকে যাবো। তার আগে এখানে বসে বিশ্রমা নিচ্ছি। আমাদের এখানকার আড্ডার বিষয় সম্পূর্ণভাবে এই মেলাকেন্দ্রিক। কোথায় কী পাওয়া যায়, কতো ছাড়, এগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করি। এ আড্ডা দিতে দিতেই একটি পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হলো আমার। যারা আমাদের সঙ্গে আড্ডায় যোগ দিয়েছিল। তাদের কাছ থেকেও নতুন কিছু জানতে পারলাম। এখন সেদিকেই যাবো।

এই আড্ডার মাধ্যমেই কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি খুজে পেয়েছেন উল্লেখ করে শিমুল নামের আরেক দর্শনার্থী বলেন, আমি ফেসবুকের মাধ্যমে একটি ঘর সাজানোর পণ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম। মেলায় এসে স্টলটি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এখানে বসে আমরা দুই বন্ধু মিলে বিষয়টি আলোচনা করছিলাম। তখন পাশ থেকে আরেক বড় ভাই আমাদের বললেন স্টলটি কোথায় আছে। সে অনুসারে আমরা গিয়ে জিনিসটি কিনতে পেরেছি। এখন এখানে বসে আবার বিশ্রাম নিচ্ছি বের হয়ে যাবার আগে। আড্ডায় জমজমাট মেলা, ছবি: শাকিল আহমেদএদিকে, মেলায় এই বসার স্থানে দেখা যায় পাশেই অবস্থিত শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ। বাংলানিউজকে তারা বলেন, এই মেলা হলে আমরা সব সময় আসি, প্রায় প্রতিদিনই আসি। সাধারণত আমরা সারাবছর একেবারে কোলাহলহীন পরিবেশে আড্ডা দিই। শুধুমাত্র এই মেলার সময় এখানে এসে একটি কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে আমাদের আড্ডা দিতে ভালো লাগে। তবে ক্যাম্পাসের আড্ডায় বিভিন্ন টপিকস থাকলেও এখানে মেলা ছাড়া আর অন্য কোনো বিষয় থাকে না।

এ বিষয়ে হানিফ-অজান্তা দম্পতি বাংলানিউজকে বলেন, এখানে আমরা আড্ডা দিতে বসিনি। বসেছিলাম কি কি কিনবো এবং কোন দিক থেকে যাত্রা শুরু করবো, সে পরিকল্পনা করতে। কিন্তু আরও কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে হঠাৎ করেই কথায় জড়িয়ে যাই। এরপর আমরা প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে এখানে আড্ডায় মেতে থাকি। তবে এই আড্ডা থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি মেলা সম্পর্কে। তাতে আমাদের কেনাকাটা করতে অনেক সুবিধা হয়েছে। এখন আবার এসে বসেছি, মেলা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে।

তবে ভিন্ন মত পোষণ করে শরিফুল ইসলাম নামের এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি এ বসার স্থানে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন। কিন্তু যাদের বসা জরুরি বা যারা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন, যেমন আগত বয়স্ক মানুষ ও বিভিন্ন বয়সের নারীরা অনেক সময় বসার সুযোগ পান না। তাদের নজরে রেখে আগে বসতে দেওয়া উচিত। আমি এখানে বসার জন্য মানুষের প্রতিযোগিতাও লক্ষ্য করেছি। আবার অনেকে এখানে বসে খাওয়া-দাওয়া করে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা না ফেলে জায়গাটা নোংরা করে ফেলেন। এদিকেও আমাদের নজর রাখা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
এমএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।