ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বাণিজ্যমেলা

বাণিজ্যমেলায় বেড়েছে দর্শনার্থী ও বিক্রি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
বাণিজ্যমেলায় বেড়েছে দর্শনার্থী ও বিক্রি শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় বাণিজ্যমেলায়বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থী

ঢাকা: ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণার সঙ্গে বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ায় তৃতীয় সপ্তাহে এসে জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই মেলায় প্রবেশের জন্য প্রতিটি কাউন্টারের সামনে ছিলো মানুষের দীর্ঘ লাইন। দুপুরের আগেই মেলা প্রাঙ্গণ যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

আর ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ায় ছাড় ও আকর্ষণীয় অফার দিয়ে মেলায় আগতদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্টল মালিকরা।

এদিন মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, মেলার গেট সকাল ৯টায় উন্মুক্ত করার পর থেকেই দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে থাকেন।

টিকিট কাউন্টারে বেলা বাড়ার সঙ্গে লাইনের সারিও দীর্ঘ হতে থাকে। তবে মেলা প্রাঙ্গণের পরিবেশ স্বাভাবিক ও শৃঙ্খলা মধ্যে রাখতে ভেতরে-বাইরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের তৎপরতা দেখা যায়। এছাড়া মাইকে প্রচার করা হচ্ছে বিভিন্ন পণ্যের ওপর ছাড়ের তথ্য।

অন্যদিকে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে খুশি বিক্রেতা। তারা জানান, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থী বাড়ে। এজন্য পূর্ব অভিজ্ঞতায় তারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন। সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে দর্শনার্থী থাকলেও বিক্রি থাকে না। তবে ছুটির দিনে তাদের বেচাকেনা অন্যদিনের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়ে। এছাড়া এক শ্রেণীর সুযোগ সন্ধানী ক্রেতার বিষয়ে তারা সিসি ক্যামেরাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তার কোনো সুফল মেলে না বলে অভিযোগ করেন বিক্রেতারা।

একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ভোলার চরফ্যাশন থেকে পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন হাসান। তিনি বলেন, চাকরিজীবী হওয়ায় সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে কাজের কারণে ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারি না। আজ ছুটির দিন হওয়ায় কেনাকাটা করতে এসেছি। সাধারণত পরিবার নিয়ে সবসময় বের হওয়া হয় না। বাণিজ্যমেলার জন্য সেই চরফ্যাশন থেকে মেলায় এসেছি। এজন্য অফিস থেকে অতিরিক্ত দুইদিনের ছুটিও নিয়েছি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বন্ধুদের সঙ্গে মেলায় এসেছেন অভি বিশ্বাস। তিনি বলেন, পড়াশোনা নিয়ে বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই ছুটির দিনে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে ও কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে মেলায় আসা। কারণ মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যে ছাড় পাওয়ার পাশাপাশি মানসম্মত পণ্যের নিশ্চয়তা ও বিদেশি পণ্য পাওয়া যায় এখানে।

৫৬ নং প্যাভেলিয়নের অপরুপা গিফট হাউজের ম্যানেজার শেখ নয়ন জানান, মেলার তৃতীয় সপ্তাহে এসে বেচাকেনাসহ বেড়েছে দর্শনার্থী। সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে দর্শনার্থী থাকলেও বিক্রি থাকে না। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থীর সঙ্গে বিক্রিও বেড়েছে। গত তিন বছর ধরে মেলায় অংশ নেন তারা। এ বছর ক্রেতাদের আগ্রহ মেয়েদের কুর্তি আর গাউনের প্রতি।

গত ৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া মাসব্যাপী এ মেলার পর্দা নামবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।

মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি। এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো- থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।