ঢাকা, শুক্রবার, ৫ পৌষ ১৪৩১, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আগরতলা

নববর্ষ বরণের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা ত্রিপুরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
নববর্ষ বরণের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা ত্রিপুরা

আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতে শনিবার (১৫ এপ্রিল) উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০। দেশের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ত্রিপুরা জুড়েও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হচ্ছে নববর্ষ।

রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।  

বছরের প্রথম দিন আগরতলার লক্ষীনারায়ণ বাড়ি মন্দিরে সাধারণ মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ধর্মপ্রাণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পূজা দিয়ে পরিবার এবং দেশের মঙ্গল কামনা করেন। ব্যবসায়ীরা বছরের প্রথম দিন থেকে নতুন হাল খাতায় হিসাব লেখা শুরু করেন। এর আগে অনেকেই লক্ষীনারায়ণ বাড়ি মন্দিরে পূজা করিয়ে নেন হালখাতার। ব্যবসায়িক পাশাপাশি সাধারণ মানুষও বিভিন্ন মন্দিরে পূজা দিয়ে পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।  

লক্ষীনারায়ণ বাড়ির মূল মন্দিরের বাইরে প্রতি বছরের মতো এ বছর পুরোহিতরা সারিবদ্ধভাবে বসেন। ব্যবসায়ীরা নিজেদের পরিচিত বা পছন্দের পুরোহিতদের কাছে হাল খাতার পূজা করিয়ে নেন।  

পুরোহিত প্রশান্ত গাঙ্গুলী বলেন, নববর্ষ হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালি বংশের মানুষের জন্য এক বিশেষ দিন। এই দিন যেমন পূজা দিয়ে মানুষ সারাবছর ভালোভাবে কাটানোর প্রার্থনা করেন। একইভাবে ব্যবসায়ীরা হাল খাতায় পূঁজা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তিনি গত ১৭ বছর ধরে এই মন্দিরে পহেলা বৈশাখে আসছেন তবে এ বছর বক্তা সমাগম খুব কম বলে জানান। এর কারণ হিসেবে শনিবার দিনকে মনে করছেন তিনি, শনিবার তাই অনেকেই আসেননি বলে তার ধারণা।

আরও এক পুরোহিত জানান, এ হাল খাতা উৎসবের তাৎপর্য হচ্ছে বছরের প্রথম দিন গণেশ এবং লক্ষ্মী বন্দনার মধ্য দিয়ে ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধির প্রার্থনা করা হয়। এ কথা যুগ যুগান্তর করে চলে আসছে। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে লক্ষীনারায়ণ বাড়ির সামনে দুই দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দোকানিরা মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবার-দাবার গৃহস্থালি সামগ্রী পুতুল গৃহসজ্জার সামগ্রী নিয়ে বসেছেন।

নববর্ষ পালনের অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে ভালো খাবার দাবার। মানুষের অভিমত বছরের শুরুর দিন ভালো খাবার দাবার খেলে সারাবছর ভালো কাটে এবং খাবার-দাবার ভালো খাওয়া যায়। এ ধারণা থেকে প্রতি বছরই পহেলা বৈশাখের দিন সকাল থেকে রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন বাজারে বিশেষ করে মাছ মাংসের বাজারে উপছেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ব্যবসায়ীরাও মানুষের এ চাহিদার কথা চিন্তা করে ইলিশ বোয়াল গলদা চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছ এবং মাংস নিয়ে বসেন বাজারগুলোতে। ক্রেতারা নিজ নিজ সাধ্যমতো পছন্দের মাছ মাংস নিয়ে যান। যদিও অন্যান্য উৎসবের দিনগুলোর মতো নববর্ষের দিনেও বাজারে জিনিসপত্রের দাম অনেকটাই চড়া থাকে। বাঙালির ভালো খাবার-দাবারের শেষ পাতে দই এবং মিষ্টি থাকা চাই, তাই এদিন মিষ্টির দোকানগুলোতেও লম্বা লাইন লক্ষ্য করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
এসসিএন/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।