ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আগরতলা

ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথের কাজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথের কাজ কথা বলছেন জিএম চেতন কুমার শ্রীবাস্তব। 

আগরতলা, (ত্রিপুরা): ‘আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিন্তপুর স্টেশন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগরতলা রেলস্টেশন থেকে নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত রেলপথের নির্মাণ কাজ চলছে।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ’

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) চেতন কুমার শ্রীবাস্তব।  

সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক এই পথে পণ্য আনা নেওয়ার কাজ চলবে। পরবর্তীতে যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা করলে উভয় দেশের যাত্রীরা চলাফেরা করতে পারবেন।  ত্রিপুরা রাজ্যে রেলের বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে, এর মধ্যে রয়েছে রেল পরিষেবাকে ডিজেলের পরিবর্তে বিদ্যুতের মাধ্যমে পরিচালনা করা। নতুন লাইনসহ অবকাঠামনির্মাণ ইত্যাদি।

এদিন তিনি তার দুই সহকর্মী লামডিংয়ের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) প্রেম রঞ্জন কুমার এবং সার্কেল অফিসার (সিও) বিবেক শ্রীবাস্তব আগরতলা থেকে সাবরুম পর্যন্ত বিভিন্ন পরিকাঠামো ঘুরে দেখেন।

রাতে সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব বলেন, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বদরপুর ধর্মনগরের মধ্যে ট্রেন লাইনের বৈদ্যুতিকরণের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করে দেখবে। নভেম্বরে বদরপুর থেকে আগরতলার মধ্যে ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি বৈদ্যুতিক হবে। এজন্য এখন বৈদ্যুতিক লাইন বসানোর কাজ চলছে।  

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে সাবরুম পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা বিদ্যুৎ চালিত হবে। ট্রেন পরিষেবায় বৈদ্যুতিকরণ হলে গতি অনেক বাড়বে। ২৩৫ কোটি রুপি খরচ করে আগরতলা স্টেশনকে বিশ্বমানের রেলস্টেশনে উন্নীত করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনের আগে সন্ধ্যার পর মহাকরণে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহার সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।