ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

৩ বছরে ত্রিপুরায় সাড়ে ২৮ লাখ গাঁজা গাছ ধ্বংস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
৩ বছরে ত্রিপুরায় সাড়ে ২৮ লাখ গাঁজা গাছ ধ্বংস গাজা গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

প্রতি বছরের মতো এবছরও ত্রিপুরা রাজ্যের অবৈধ গাঁজা চাষিদের বিরুদ্ধে রাজ্য প্রশাসনের অভিযান চলছে। নভেম্বর মাস থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের আধীকারীকরা পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে গাঁজাবিরোধী অভিযানে নামেন। 

আগরতলা: প্রতি বছরের মতো এবছরও ত্রিপুরা রাজ্যের অবৈধ গাঁজা চাষিদের বিরুদ্ধে রাজ্য প্রশাসনের অভিযান চলছে। নভেম্বর মাস থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের আধীকারীকরা পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে গাঁজাবিরোধী অভিযানে নামেন।

 

আবার যেসব সীমান্ত এলাকায় গাঁজা চাষ হয় সেসব এলাকায় এগুলো ধ্বংসে ত্রিপুরা রাজ্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ।  

রাজ্যে গাঁজা চাষ অবৈধ হওয়া স্বত্ত্বেও প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যের প্রায় সবক’টি জেলাতেই গাঁজা চাষ হয়ে থাকে। তবে রাজ্যের সবচেয়ে বেশি গাঁজা চাষ হয় সিপাহীজলা জেলা, পশ্চিম জেলা ও খোয়াই জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়।  

গাঁজা চাষের জন্য অসাধু চাষিরা মূলত জঙ্গলের মধ্যে সরকারি খাসজমিকে বেছে নেন। এ কাজে তাদের প্রথম পছন্দ হলো সীমান্তবর্তী এলাকা, যাতে সহজেই  বাংলাদেশে তা পাচার করা যায়।      

গাঁজা চাষি ও গাঁজা পাচারকারীদের বিশেষ সূত্রে জানা যায়, ত্রিপুরা রাজ্যে অবৈধভাবে চাষ হওয়া গাঁজা থেকে মূল উপাদানগুলো সংগ্রহ করার পর সঙ্গে সঙ্গে পাচার করা হয়। আবার কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই গাঁজা রোদে শুকিয়ে প্লাস্টিকের বড় বড় ড্রামে ভরে সংরক্ষণ করে রাখেন। বছরের যে সময় গাঁজা চাষ হয় না তখন এগুলোকে চড়া দামে বিক্রি করেন। ড্রামে ভর্তি শুকনো গাঁজা অনেক সময় মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়। এভাবে মাটির তলায় রাখা গাঁজা যেমন সুরক্ষিত থাকে তেমনি পুলিশসহ তদন্তকারীদের সহজে নজর এড়িয়েও রাখা যায়।  

তারা আরও জানান, বেশিরভাগ গাঁজা সীমান্ত পেরিয়ে চলে যায় বাংলাদেশে। এরপর তা প্রক্রিয়াজাত হয়ে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। গাঁজা গাছ কাটা হচ্ছে

তাই প্রতি বছর এ সময়টাতে গাঁজাবিরোধী অভিযানে নামে রাজ্য প্রশাসন। ত্রিপুরা সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে প্রায় ৮শ’ ৪৬ দশমিক ৭ একর জমিতে ১২ লাখ ১০ হাজার ৯শ’ ২৫টি গাঁজা গাছ নষ্ট করা হয়েছে। ২০১৫ সালে প্রায় ৭শ’ ৩৭ দশমিক ৫৬ একর জমিতে ১০ লাখ ৬২ হাজার ৪শ’ ৭৫টি গাঁজা গাছ কেটে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।  

২০১৬ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ১শ’ ৮১ দশমিক ৮ একর জমিতে ৫ লাখ ৪০ হাজার ৫শ’ ৪৫টি গাঁজা গাছ ধ্বংস করা হয়েছে।  

মাঝে মাঝে এসব অবৈধ গাঁজা চাষিদের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে প্রশাসনের আধীকারীকদের প্রতিরোধের মুখেও পড়তে হয়। অনেক সময় গ্রামীণ পাহাড়ি এলাকায় অভিযানের সময় গাঁজা চাষিরা সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন অস্ত্রসহ আধীকারীকদের ওপর হামলা চালায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬ 
এসসিএন/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।