গঙ্গাদেবী হলেন জলের দেবতা। পাহাড়ে জল মানে বৃষ্টি।
তাদের ধারণা ছিলো, জলের দেবী গঙ্গা মানুষের ওপর ক্রুব্ধ হলে বৃষ্টি হয় না। তাই জলের দেবীকে তুষ্ট করতেই বৃষ্টির মৌসুম শুরুর আগে গঙ্গাদেবীর পূজা করার প্রচলন শুরু হয়।
কতো বছর আগে ত্রিপুরার কোন রাজা এ পূজার প্রচলন করেন তার ইতিহাস আজও জানা যায়নি। পূজায় ছাগল, মোরগ, পায়রা বলি দেওয়া হয় জলের দেবীকে সন্তুষ্ট করতে।
ত্রিপুরার উপজাতিদের অন্যান্য দেবতার মতো গঙ্গাদেবীর প্রতিমাও তৈরি করা হয় বাঁশ দিয়ে।
পূজায় জুমে উৎপাদিত আতব চাল, দেশি মদ ব্যবহৃত হয়। রাজ চন্তাই (ত্রিপুরার রাজাদের উপজাতি কুল পুরোহিত) এ পূজা করে থাকেন। আগে এ পূজার স্থানে রাজা নিজে গিয়ে পূজা দিতেন।
আগে তিন দিন ধরে এ পূজা চলতো, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ পূজা জৌলুস হারিয়েছে। এখন মাত্র একদিনই পূজা হয়। লোক সমাগমও আগের তুলনায় কম হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এসসিএন/এমইউএম/আরবি