এরই অংশ হিসেবে বুধবার (২ অক্টোবর) বিমানবন্দরের প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জে গান্ধীজীর বিভিন্ন সময়ের দুর্লভ কিছু ছবির একটি স্থায়ী গ্যালারি ও সংগ্রহশালা উদ্বোধন করা হয়।
রাজ্যের পশ্চিম লোকসভা আসনের এমপি প্রতিমা ভৌমিক এ গ্যালারির উদ্বোধন করেন।
এর পাশাপাশি এদিন বিমানবন্দরসংলগ্ন অনাথ আশ্রমের ৯৯ শিশুকে বিমানবন্দর পরিদর্শন ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়। এর অংশ হিসেবে প্রথমেই এ শিশুদের শহরের একটি রেস্তোরায় নিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। এরপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় আগরতলা হেরিটেজ পার্কে। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের রেপ্লিকা দেখে তারা।
সবশেষে এ শিশুদের এমবিবি বিমানবন্দর পরিদর্শনে নেওয়া হয়। সেখানে বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি কে শেঠ, সিআইএসএফ'র দুই আধিকারিক সন্তুষ কুমার সুমন, ভি কে পাণ্ডে, বিমান বন্দরের টার্মিনাল ম্যানেজার এসএইচ জেম্পুসহ পাইলট ও বিমানবালারা শিশুদের উড়োজাহাজের ওঠা-নামা ও বিমানবন্দর সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। পরে তাদের বিমান ওঠা-নামা দেখানো হয়। পাশাপাশি তাদের বিমানবন্দরে যাত্রী আগমন ও তাদের নিরাপত্তা তল্লাশিসহ আনুষঙ্গিক সব কাজকর্ম কিভাবে পরিচালিত হয় তাও দেখানো হয়।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দরের অধিকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, যে সব ছেলেমেয়েরা অনাথ আশ্রম বড় হয়, তাদের পক্ষে সবসময় অন্য সব শিশুদের মতো জীবনযাপন করা, এমনকি বিমানবন্দর দেখারও সুযোগ হয় না। তাই মহাত্মা গান্ধীর জন্মতিথিতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একদিনের জন্য কিছু অনাথ শিশুর মনোরঞ্জনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই শিশুরাই হয়তো আগামী দিনে এসব সামাজিক দায়িত্ব পালন করবে।
এদিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এমন সুযোগ দেওয়ায় খুশি বলে জানায় শিশুরা। এজন্য তারা বিমানবন্দরের সব স্তরের কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, ০২ অক্টোবর, ২০১৯
এসসিএন/এইচজে