ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় সিএএ বাতিলের দাবিতে আরও তীব্র আন্দোলন হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
ত্রিপুরায় সিএএ বাতিলের দাবিতে আরও তীব্র আন্দোলন হবে

আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএএ) চালু না করার দাবিতে শিগগিরই আন্দোলনে নামতে যাচ্ছে জয়েন্ট মুভমেন্ট অ্যাগেইন্সট সিটিজেনসিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল কমিটি (জেএমএসিএবি)। শিগগিরই কমিটির নেতারা বৈঠক করে আন্দোলনের দিনক্ষণ স্থির করবেন বলে জানানো হয়েছে। 

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জয়েন্ট মুভমেন্ট অ্যাগেইন্সট সিটিজেনসিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল কমিটির মুখপাত্র অ্যান্টনি দেববর্মা।  

সংবাদ সম্মেলনে এবারের আন্দোলন আগের চেয়ে তীব্রতর হবে বলে হুঁশিয়ারি জানান অ্যান্টনি দেববর্মা।

এ ইস্যুতে তারা ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর আচরণে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বলেও জানান।  

তিনি জানান, এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে রাজ্যব্যাপী জয়েন্ট মুভমেন্ট অ্যাগেইন্সট সিটিজেনসিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল কমিটির সিএএ বিরোধী আন্দোলনকালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের মধ্যস্থতায় আলোচনার কথা বলে তাদের দিল্লিতে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে ১০ দিন ত্রিপুরা ভবনে তাদের একপ্রকার বন্দি অবস্থায় রেখে আশ্বাস দেওয়া হয় যে, যে কোনো সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিস থেকে বৈঠকের জন্য ডাক আসতে পারে। অথচ ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তো দূরের কথা, মন্ত্রণালয় থেকে কোনো প্রতিনিধিও তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাননি। পরে তারা অপমানিত বোধ করে ১০ দিন পর আগরতলায় ফিরে যান।  

সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্টনি দেববর্মা জানান, আগামীতে কোনো মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে তারা আর আলোচনার জন্য দিল্লি যাবে না। লিখিতভাবে বৈঠকের নির্ধারিত দিনক্ষণ উল্লেখ করে চিঠি পাঠালে কিংবা ভারত সরকারের প্রতিনিধি ত্রিপুরা রাজ্যে গিয়ে আলোচনা করতে পারে। আগামী দিনে সিএএ বিরোধী আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে।  

জয়েন্ট মুভমেন্ট অ্যাগেইন্সট সিটিজেনসিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল কমিটির অন্য সদস্যরাও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তারাও ভারত সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৫২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
এসসিএন/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।