ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

প্রদেশ যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে আগরতলায় বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
প্রদেশ যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে আগরতলায় বিক্ষোভ

আগরতলা (ত্রিপুরা): বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নিখিল ভারত যুব কংগ্রেস কমিটির ইনচার্জ কৃষ্ণ আল্লাবুরো। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ভারতবর্ষে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বেকার, প্রতিদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার বলছে চপ বিক্রির দোকান দিতে, শিক্ষিত বেকাররা কি এই জন্যই এই সরকারকে ক্ষমতায় এনে ছিলেন? মানুষ নতুন কিছু আশা নিয়ে সরকারকে ক্ষমতায় এনে ছিলেন।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ত্রিপুরা প্রদেশ যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে আগরতলায় অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এদিন দুপুরে রাজধানীর পোস্ট অফিস চৌমুহনী এলাকার কংগ্রেস ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে এবং রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সামনে এসে শেষ হয়।

মিছিলে প্রচুর সংখ্যক যুবক-যুবতী দলীয় পতাকার পাশাপাশি কালো বেলুন নিয়ে ভারতের বর্তমান এন ডি এ সরকারের নীতির প্রতিবাদ জানান। মিছিল থেকে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়।

পরে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিখিল ভারত যুব কংগ্রেস কমিটির ইনচার্জ কৃষ্ণ আল্লাবুরো।  
প্রদেশ যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে আগরতলায় বিক্ষোভ

তিনি বলেন, এই সরকার সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতে সিএএ এবং এনআরসি’সহ ইত্যাদি দেশে চালু করতে যাচ্ছে।  

তিনি ভারত সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, এগুলো করলে কি সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান ও প্রতিদিনের সমস্যার সমাধান হবে?

ভারত সরকারের পাশাপাশি এদিন ত্রিপুরা সরকারের তীব্র সমালোচনা করে কৃষ্ণ আল্লাবুরো বলেন, ভারত সরকারের মতো ত্রিপুরা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষিত বেকারদেরকে বলছেন, পানের দোকান দিতে এবং গরু পালন করতে। তিনিও সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন।  

পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি সরকার আসার পর পাঁচশো কোটি রুপির দুর্নীতি হয়েছে। তার আরও দাবি এই অভিযোগ শাসকদলীয় এক বিধায়ক করেছে। যদিও তিনি এই বিধায়কের নাম উল্লেখ করেননি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ বিশ্বাস, ত্রিপুরা প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি সুজন বিশ্বাস সহ অন্যান্য নেতারা। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সকল নেতার মুখেই ছিল ত্রিপুরা রাজ্য থেকে বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদের সুর।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
এসসিএন/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।