তিনি বলেন, ভারত কোনো ভাষার বিদ্বেষী নয়। সবার ভাষা যাতে এগিয়ে যায় সেজন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’র ডাক দিয়েছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ত্রিপুরা সরকার ও আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের যৌথ উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুল শাহিদ, ত্রিপুরা সরকারের শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, রাজস্ব দফতরের মন্ত্রী এন সি দেববর্মা, সহকারী হাই কমিশনার কিরীটি চাকমা প্রমুখ।
সভার শুরুতে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে ভাষাশহীদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এমপি আব্দুল শাহিদ বলেন, মাতৃভাষা মানুষের জন্মগত অধিকার। এ অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করে বাংলাদেশ। ভাষা আন্দোলন শুরুর অনেক আগে এ আন্দোলনের বীজ বপন করে ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এজন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু পারস্পারিক মৈত্রীর সম্পর্কই এগিয়ে যাচ্ছে না। দুই দেশে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যে সম্পর্ক বিষয়ক চুক্তি হয়েছিল। এ চুক্তি অনুসারে উভয় দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সভা শেষে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশের শিল্পীরা ভাষা শহীদের ওপর অসাধারণ নৃত্য পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
এসসিএন/আরআইএস/