ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

অজানা রোগ ও ইঁদুরের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে ধান চাষিরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২০
অজানা রোগ ও ইঁদুরের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে ধান চাষিরা অজানা রোগ ও ইঁদুরের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে ধান চাষিরা

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের পশ্চিম জেলার রামনগর, রঞ্জিতনগর, রামপুরসহ আশেপাশের এলাকার চাষিরা ধানগাছে অজানা রোগ ও ইঁদুরের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।  

এই সব এলাকার কয়েকজন চাষি বাংলানিউজকে জানান, এ বছর জমিতে আমন ধানের বাম্বার ফলন হয়েছে কিন্তু পরিপুষ্ট হওয়ার আগেই ধানের ছড়া প্রথমে হলুদ ও পরে তামাটে রঙ ধরে ঝলসে যাচ্ছে।

ফলে ধানের খুলসের মধ্যে চাল হচ্ছে না। এই সব এলাকার মাঠের পর মাঠে একই অবস্থা।  

চাষি হরিপদ শীল জানান, তার জমিতে একদিকে যেমন অজানা রোগের আক্রমণ সেইসঙ্গে হঠাৎ করে এ বছর ইঁদুরের আক্রমণও বেশি দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি শেষ হতেই ধানের জমি শুকাতে শুরু করেছে আর এর মধ্যে ইঁদুর জমির মাটি খুঁড়ে গর্ত করে বাসা তৈরি করেছে। খাবারের জন্য ধান গাছ গুড়া করে ফেলছে। ফলে জমি থেকে ধান তোলা তো দূরের কথা ঠিকভাবে খড়ও সংগ্রহ করা যাবে না।

চাষিরা আরও জানান, এ বিষয়ে কৃষি দফতরের স্থানীয় কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু কৃষি দফতরও তাদের সমস্যার কোনো সমাধান করতে পারেননি। এই অবস্থায় কি করবেন তা ভেবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা।

কৃষি দফতরের স্থানীয় কর্মকর্তা সদর মহকুমার কৃষি আধিকারিক অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট লিটন মজুমদারকে বাংলানিউজের তরফে এ সমস্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, কৃষকদের সমস্যার বিষয়ে তারা অবগত রয়েছেন। খবর পাওয়ার পর তারা রাজধানী আগরতলা পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকায় অবস্থিত ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের গবেষণা কেন্দ্রে জানান। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে নাগিছড়া থেকে দু’জন কৃষি বিজ্ঞানীকে মাঠে পাঠানো হয়। তারা মাঠ পর্যায়ে রোগ পর্যবেক্ষণ করে চাষিদের ওষুধ লিখে দেন। কি করে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে হয় তাও ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন।  

কিন্তু চাষিদের এই সমস্যা সমাধান হয়নি একথা পরে তাদেরকে জানানো হয় নাই বলে দাবি করেন তিনি। আবারও তারা মাঠে গিয়ে চাষিদের ধানের সমস্যা কি পর্যায়ে রয়েছে তা দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২০
এসসিএন/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।