ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

আত্মনির্ভরশীল হতে নারীদের বাঁশের প্রদীপ তৈরির প্রশিক্ষণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
আত্মনির্ভরশীল হতে নারীদের বাঁশের প্রদীপ তৈরির প্রশিক্ষণ

আগরতলা (ত্রিপুরা): রঙ-বেরঙের বাহারি মোমবাতির জায়গায় এবছর ত্রিপুরা রাজ্যে উদ্ভাবিত হয়েছে বাঁশের তৈরি রঙিন মোমবাতি ও তেলের প্রদীপ। ভারত সরকারের জীবিকা সম্প্রসারণ এবং বন গবেষণা কেন্দ্রের (এফআরসিএলই) আগরতলা শাখার তরফে বাঁশ বেত শিল্পীদের বাঁশের এই মোমবাতি ও প্রদীপ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (১১ নভেম্বর) রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী গান্ধীগ্রাম এলাকায় অবস্থিত এফআরসিএলই'র অফিসে গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীদের বাঁশ দিয়ে প্রদীপ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।  

সংস্থার পরিচালক পবন কুমার কৌশিক বাংলানিউজকে জানান, এই মুহূর্তে আগরতলার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার মোট ২১ জন শিল্পী বাঁশ দিয়ে প্রদীপ ও মোমবাতি তৈরির প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এর আগে আরো ২১ জন শিল্পী প্রশিক্ষণ নিয়ে ইতোমধ্যে বাড়িঘরে নিজেরাই প্রদীপ তৈরি করে বিক্রি করছেন। মূলত মহিলা শিল্পীরা এই প্রদীপ তৈরির প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বলেও জানান।

অন্যান্য প্রদীপ থেকে বাঁশের তৈরি প্রদীপের বিশেষত্ব কি? এই প্রশ্নের উত্তরে পবন কুমার কৌশিক বলেন, বাড়িঘরে দীপাবলিসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে রঙিন মোমবাতি ও প্রদীপ ব্যবহার হয়ে থাকে আজকাল, এগুলির বেশিরভাগই কাচ অথবা বাড়ি প্লাস্টিকের অপচনশীল সাজানো কৌটোর মধ্যে জেল মোমবাতি দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। এগুলি একবার ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হয়। মোমবাতি ও প্রদীপের এই বর্জ্য অপচনশীল, ফলে এই সামগ্রী তুলে ব্যবহারের পর মানুষ ফেলে দিলেও পরিবেশের ক্ষতি করে। কিন্তু বাঁশের তৈরি এইসকল মোমবাতি ও প্রদীপ গুলি একাধিকবার ব্যবহার করা যায় এবং পরিবেশের মধ্যে ফেলে দিলে খুব সহজে পঁচে মাটিতে মিশে যায়। এই সকল কারণে বর্তমানে বাঁশের প্রদীপের চাহিদা খুব বেশি। আগে যারা এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা ইতিমধ্যে দুই হাজার পিস বাঁশের প্রদীপ তৈরি করেছেন। এখন বাড়িতে বসে আরো প্রদীপ তৈরি করে বিক্রি করছেন। তিনি আরো বলেন অন্যান্য কাজে ব্যবহার করার পর বাসের যে অবশিষ্ট অংশ মূলত গিট পড়ে থাকে অব্যবহার্য সামগ্রী হিসেবে এই অব্যবহার্য গিট গুলি থেকেই প্রদীপ তৈরীর ভাবনা এসেছে। যা এখন একটি শিল্পের রূপ নিয়েছে। দীপাবলির পাশাপাশি বড়দিনে এইসকল প্রদীপের চাহিদা থাকবে বলেও জানান তিনি।

এখানে প্রশিক্ষণরত রীতা সূত্রধর, অর্পিতা দত্তসহ আরো কয়েকজন মহিলা বাংলানিউজকে জানান, তারা খুব উৎসাহের সঙ্গে কাজগুলি শিখছেন। কারণ বাড়িতে গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের শেষে অবসর সময়ে মোমবাতি বিক্রি করে তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারবেন এবং পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারবেন। বাজারের বাহারি মোমবাতি ও প্রদীপের তুলনায় এগুলো অনেক সস্তা। আকার ও ডিজাইনের উপর এগুলির মূল্য নির্ধারণ নির্ভর করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
এসসিএন/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।