সিলেট থেকে: প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৮ সালের মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন হতে হবে। আর তাই চারলেনের অপেক্ষায় সিলেট বিভাগের চার জেলাসহ মহাসড়কটি ব্যবহারকারী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলবাসীরা।
শুধু তাই নয়, ভারত থেকে বাংলাদেশে পর্যটক আগমন ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে সড়কপথে পর্যটক যেতেও মহাসড়কটি একটি গেটওয়ে হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এশিয়ান হাইওয়ে ১ ও ২’র রুটভুক্ত। আবার বিমসটেক রোড করিডোর ৩ ও সাসেক হাইওয়ে করিডোর ৫’র রুটভুক্তও এ মহাসড়ক। ফলে অভ্যন্তরীণের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানিয়েছে, চীনাদের হাতেই দেওয়া হচ্ছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনের কাজ। আগামী সেপ্টেম্বরে চীনা রাষ্ট্রপ্রতির বাংলাদেশ সফরকালে প্রকল্পটি শুরু হলে ১ ভাগ ইন্টারেস্টে তারা এটি করে দেবে।
তবে সেজন্য সব প্রস্তুতি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বারবার তাগিদ দিলেও ইআরডি গড়িমসি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন করতে আগ্রহী এডিবি। কিন্তু ২০১৯-২০’র আগে তারা এর অর্থসংস্থান করতে পারবে না।
উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদ ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ২০২০ সালে এডিবি যদি শুরু করে, তাহলে ২০২৬ সালের আগে রাস্তার কাজ শেষ করতে পারবে না। অথচ চীন ৭ বছর আগে এটা করে দিতে পারবে। মাত্র ৩ বছর পরই চারলেন হয়ে যাবে মহাসড়কটি। তখন পর্যটন ও অর্থনীতি দু’টোই বদলে যাবে সিলেটের। বাড়বে জিডিপিও।
চারলেন সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করে ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ করতে সিলেটসহ চার জেলার সংসদ সদস্যরা নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করেছেন।
তাদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে দাবিটি জোরালো করতে ভূমিকা রাখছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
যোগাযোগ করা হলে ড. মোমেন বলেন, চীনারা ১ শতাংশ ইন্টারেস্টে এটা করতে পারে বলে শুনেছি। ২০১৯ সালের মধ্যে রাস্তা হলে ইট উইল বি আওয়ার ক্যাম্পেইন ইস্যু।
চারলেন প্রকল্প অনুযায়ী, মূল সড়কের পাশাপাশি ধীরগতির যানবাহনের জন্য দুই পাশে পৃথক লেন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ছোট আকারের ৬০টি সেতু, চারটি ফ্লাইওভার ও ২৭টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে সম্ভাব্যতা যাচাই ও বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন হয়েছে। এখন অর্থায়নের উৎস নিশ্চিত হলেই দ্রুত প্রকল্পটি অনুমোদন করে চূড়ান্ত কাজ শুরু হবে।
**দুই কারণে সাতছড়িতে ঝুঁকিতে বন্যপ্রাণী
** ট্রেইলে নয় ওয়াচ টাওয়ারে সাতছড়ি দর্শন
** বাসে বিমানের ছোঁয়া!
**এসি বাস নেই সিলেট রুটে!
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৬
এসএ/জেডএস