আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার পরের বিধানসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরা সরকার একের পর এক জন কল্যাণকারী সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়ে মানুষের মন জয়ে ব্যস্ত।
শুক্রবার(২ ডিসেম্বর) রাজ্য সরকারের এমন কিছু সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিন তিনি মহাকরণের প্রেস কর্নারে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের নতুন কিছু সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, ত্রিপুরা সরকারের পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারিং সেলে বিভিন্ন বিভাগে নতুন করে মোট ২০০ ইঞ্জিনিয়ার (প্রকৌশলী) নিয়োগ করা হবে। কিছুদিন আগেই আরও ২০০ জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (প্রকৌশলী) নিয়োগের বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় আজ এই ঘোষণা দেওয়া হলো।
রাজ্যের কৃষকরা যাতে ধান উৎপাদনের প্রতি আগ্রহ না হারিয়ে ফেলেন, সেজন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম সহায়ক দামে ধান কেনা শুরু হয়।
২০১৮সালে ১৭ রুপি ৫০ পয়সা দামে কেনা শুরু হয়। এই বছর ধান কেনা হবে ২০ রুপির বেশি দামে। ইতোমধ্যে রাজ্য সরকার প্রায় ২৪৫ কোটি রুপির ধান সহায়ক দামে কৃষকদের কাছ থেকে কিনেছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
এখন থেকে রাজ্য সরকারের গ্রুপ এ ও গ্রুপ বি স্তরের কর্মচারীদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে বহিঃরাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার জন্য রেফার সার্টিফিকেট নিতে হবে না।
অগ্নিনির্বাপণ দপ্তরের নতুন নিয়োগের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষার যখন অন্যান্য যাবতীয় পরীক্ষা নেবে। এই পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। খুব দ্রুত এই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
রাজ্যে আরও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২২
এসসিএন/আরএইচ