ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

৬ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে চলছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
৬ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে চলছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সীমাহীন অভিযোগ রয়েছে।  

এই আবহে দীর্ঘ ৬ বছর পর রোববার (১১ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গে চলছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা।

 

এ বছর পরীক্ষা দিচ্ছেন ৬ লাখ ২০ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থী। ১ হাজার ৪৬০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে। শিক্ষাপর্ষদের কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চলছে। পরীক্ষাকেন্দ্র লাগোয়া এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

এছাড়া পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদ - এই ৬ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা মনিটর করেছে প্রশাসন।  

রোববার ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও এবারে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বাড়তি যানবাহনের ব্যবস্থা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কম সময়ের ব্যবধানে মেট্রো চালানো হচ্ছে। মেট্রোর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।  

সবমিলিয়ে নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েছে মমতার সরকার।

শিক্ষাপর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল  শনিবার এই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন।

পরীক্ষা ব্যবস্থা বিঘ্ন ঘটানো অপচেষ্টা চলছে, তার কাছে  এমন একাধিক এসএমএস এসেছে।

তিনি বলেন, শিক্ষাপর্ষদের কাছে এবং প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর আছে যে কেউ কেউ এই পরীক্ষা ব্যবস্থা বিঘ্ন ঘটাতে চাইছে। এ নিয়ে তার কাছে একাধিক এসএমএস এসেছে। তবে পর্ষদ এবং প্রশাসন যথেষ্ট সচেতন ও সতর্ক। কোনো প্রার্থী পরীক্ষা বিধি না মেনে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করলে বা বহিরাগত থেকে এমনটি করতে দেখলে আমরা প্রশাসনের কাছে কঠোরতম শাস্তির সুপারিশ করব।

এদিকে শিক্ষাপর্ষদের সভাপতির এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা সৌমিক ভট্টাচার্য।  

তিনি বলেন, আগেকার দিনে শোনা যেত, কারো বাড়িতে ডাকাতি করতে আসার আগে আগাম জানিয়ে আসতো রঘু ডাকাতরা । এরকম গল্প ছোটবেলায় আমরা বহু শুনেছি। এটা যে তৃণমূল জমানায় ২০২২ সালে হবে সেটা জানা ছিল না। যদি কেউ অন্তর্তঘাতের চেষ্টা করে সে পর্ষদ সভাপতিকে আগে থেকেই এসএমএস করে জানিয়ে দিচ্ছেন, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য বিষয়? এটা কোনো শিক্ষাব্যবস্থা? শিক্ষা নিয়ে তামাশা চলছে। অত্যন্ত হতাশা জনক বক্তব্য। যদি কেউ বিঘ্ন ঘটাতে চায় তাহলে তা দেখার দায়িত্ব কার? এটা দেখার দায়িত্ব পর্ষদের এবং প্রশাসনের। পাছে কোন বিপদ ঘটে তাই ব্যর্থতা ঢাকার জন্য আগে থেকেই হলফনামা দিয়ে মানুষকে জানিয়ে দিচ্ছেন। এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি আর কিছু হতে পারে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, ১১ ডিসেম্বর ২০২২
ভিএস/এসএএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।