ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

ফের মমতা ও তার সরকারের প্রশংসা করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
ফের মমতা ও তার সরকারের প্রশংসা করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি

কলকাতা: এজলাসে নিজের চেয়ারে বসে একাধিকবার রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তার মুখেই প্রশংসা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

বিচারপতি বলেন, সরকারের ভূমিকা যদি সঠিক থাকে, তবে মুখ্যমন্ত্রীর কাজের অবশ্যই প্রশংসা করব।  

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) আদালতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেখানেই বিচারপতি রাজ্য শিক্ষা পর্ষদ ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, শিক্ষা পর্ষদ ভাল কাজ করলে তার প্রশংসা আমি করবই। আবার রাজ্য সরকারের ভূমিকাও যদি সঠিক থাকে সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা অবশ্যই করব। তবে আবার যদি দেখি কোনো ভুল কাজ হচ্ছে, তাহলে সমালোচনা করব। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই।

এর আগে গতকাল শিক্ষা পর্ষদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। টেট পরীক্ষা নিয়ে বিচারপতি বলেন, টেট হওয়ার পর কপি দেওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে কাজ ভালো হচ্ছে।  

গত রোববার (১১ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (টেট) পরীক্ষা হয়েছে। এই বছর পরীক্ষা দিয়েছেন ৬ লাখ ২০ হাজার ৯৩২ জন। পরীক্ষা হয়েছে এক হাজার ৪৬০টি কেন্দ্রে। শিক্ষা পর্ষদের কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দ্বারা নজরদারি চলছে।  

পরীক্ষাকেন্দ্র লাগোয়া এলাকাগুলোয় ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি। পরীক্ষা শেষে ওএমআর শিটের (উত্তরপত্র) কপি দেওয়া হয়েছে। এদিন তাই ফের পর্ষদের প্রশংসাও শোনা গেল বিচারপতির গলায়।

শিক্ষক নিয়োগে ভুয়া নিয়োগ হয়েছিল ওএমআর শিটের জালিয়াতিতে। উত্তরপত্রে ভুল থাকার কারণে বাতিল হয়েছিল অনেকের আবেদন। আদালতে চাকরিপ্রার্থী হামিদ জানিয়েছিলেন, এ, বি, সি ও ডি এই চার ধরনের প্রশ্ন ছিল। তিনি ‘এ’ এবং ‘বি’-তে টিক মার্ক দিয়েছিলেন। কিন্তু ‘সি’ বা ‘ডি’-তে তিনি কোনো টিক মার্ক দেননি।  

জানা যায়, নির্দিষ্ট প্রশ্নে উত্তরগুলো দুটোর বেশি তিনটিতে টিক চিহ্ন দিলে তা ভুল বলে ধরা হবে। হামিদের কথামতো, তিনি সব প্রশ্নের উত্তর সঠিক দিয়েছিলেন। ভুল উত্তরগুলোতে অন্য কালির কলম ব্যবহার করা হয়েছে। এরপরই বিচারপতি হামিদকে জিজ্ঞেস করেন, যে কলম দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন তা আছে কি না। হামিদ সম্মতি দেন, আছে। এরপরই ফরেনসিক ল্যাবে ধরা পড়ে জালিয়াতি।

সেই ভুয়া সুপারিশপ্রাপ্তির তালিকার বিষয়ে বলতে গিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, ধেড়ে ইঁদুর বেরোবে। ওইসব ভুয়া শিক্ষক কতজন, তারা কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছে, তাদের নামও জেলা স্কুল পরির্দশকদের জানানোর জন্য কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২
ভিএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।