কলকাতা: নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্রে (ওএমআর শিট) এক নম্বরও পাননি অথচ শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছেন, এভাবে ১ হাজার ৬৯৮ জন ভুয়া শিক্ষক নিয়োগের ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে এমন অভিযোগ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই), যা শুনে বিচারপতি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
অবিলম্বে সেসব ভুয়া শিক্ষকদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ১ হাজার ৬৯৮ জন চাকরি করছেন, যারা নিয়োগ পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন। নম্বর বাড়িয়ে এই প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।
সিবিআই-এর বক্তব্য শুনে বিচারপতি বিস্মিত হন। এরপ ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন , শূন্য পেয়ে চাকরি! এটা সর্বনাশ বিষয়।
এরপর শিক্ষা পর্ষদের উদ্দেশ্যে বলেন, এসব ভুয়া শিক্ষকরা কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত তাদের বিস্তারিত তথ্য আদালতে জমা দিতে হবে। ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের বলুন, এদের যেন আর স্কুলে ঢুকতে না দেওয়া হয়।
এসব ভুয়া শিক্ষকদের বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতার আদালতের বিচারপতি।
সরকারের আইনজীবীকে বিচারপতি বলেন, এসব ভুয়া শিক্ষকদের এখন পর্যন্ত কত টাকা বেতন দেওয়া হয়েছে তার একটা হিসাব বের করে আদালতে জমা দিন। অভিযুক্ত শিক্ষকদের নাম, পরিচয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য আদালতে জমা দিতে হবে। বেআইনিভাবে কর্মরতদের আর একদিনও কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেখতে চায় না আদালত।
ভুয়া শিক্ষকদের সব তথ্য জমা দিতে বিচারপতির কাছে একদিন সময় চেয়ে নেন সরকারের আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩ , ২০২২
ভিএস/এসএএইচ