কলকাতা: ঢাকার বনানী থানার পরিদর্শক ও ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক সোহেল রানা ভারতে জামিন পেয়েই গা ঢাকা দিয়েছেন। তার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
সীমান্ত পেরিয়ে তিনি ফের বাংলাদেশ, নেপাল অথবা অন্য কোনো দেশে চলে গেছেন কিনা তারও কোন তথ্য নেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে।
পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা মেখলিগঞ্চ থানা শনিবার বিষয়টি জানিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট পাঠিয়েছে।
হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চকে পুলিশ জানিয়েছে, জামিন পাওয়ার পর থেকে সোহেল রানা থানায় হাজিরা দেননি। তবে হাজিরা দিতে না পারার কারণ জানাতে নিজের একটি মেডিকেল রিপোর্ট মেইল করেছেন।
ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার হন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণায় অভিযুক্ত সোহেল রানা। ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্দা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিএসএফ।
সে সময় জানা যায়, ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন সোহেল। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে ডলার, ইউরো এবং একাধিক মোবাইল সিম পাওয়া যায়। পাশাপাশি বাংলাদেশি নথিও উদ্ধার হয়।
পরবর্তীতে সোহেল রানাকে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। অবৈধ অনুপ্রবেশের আইন অনুযায়ী, স্থানীয় আদালতে মামলা করে পুলিশ। পরে সোহেলের আইনজীবী মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে (উত্তর শাখা) নিয়ে যায়।
সেখানে সোহেলের আইনজীবী দাবি করেন, তার মক্কেল অসুস্থ, তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সেই প্রেক্ষেতে তাকে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর জামিন দেয় হাইকোর্ট। যদিও হাইকোর্টর রায়ে খুশি ছিলেন না জলপাইগুড়ি মহকুমা আদালত।
তবে হাইর্কোটের নির্দেশে জামিন দেওয়া হলেও শর্ত ছিল যে, সোহেলকে প্রতি সপ্তাহে একবার মেখলিগঞ্জ থানায় হাজিরা দেবেন। মামলা নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত মেখলিগঞ্জ থানাকে না জানিয়ে কোথাও যেতে পারবেন না। কিন্তু আদালতের কোনো আদেশই মানেননি সোহেল।
মেখলিগঞ্জের পুলিশের প্রধান সদর দফতর কোচবিহার জেলার এসপি সুনীত কুমার জানান, সোহেল রানা মেখলিগঞ্জ থানায় দেখা করেননি এবং তার পরিবর্তে থানায় মেখলিগঞ্জ এসডি হাসপাতালে করা মেডিকেল রিপোর্ট ইমেইল করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে একটি উচ্চতর চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি ইমেইলে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। রোববার (২২ জানুয়ারি) থেকে তার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, ২২ জানুয়ারি, ২০২২
ভিএস/এসএএইচ