ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ব্যাঙ মেরে নৈশভোজ, মেয়ের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
ব্যাঙ মেরে নৈশভোজ, মেয়ের মৃত্যু

একটি ব্যাঙ বাড়িতে প্রবেশ করায় বিচলিত হন গৃহকর্তা। বিরক্ত হয়ে সেই ব্যাঙকে মেরেই ফেলেন তিনি।

এরপর এটি রান্না করে নৈশভোজে সপরিবারে উপভোগ করেন। ওই ব্যক্তির কিছু না ঘটলেও সেই ব্যাঙের কারি খেয়ে তার এক মেয়ে মারা গেছে। আরেক মেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় এখন।

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গেল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাঙ রান্নার ঘটনা ঘটেছে ভারতের উড়িষার কেওনঝড় জেলার জোডা ব্লক এলাকায় মুনা মুন্ডা নামে এক আদিবাসীর বাড়িতে। এলাকাটি কেওনঝার থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে বামেবাড়ি থানাধাীন বামেবাড়ি থানাধীন প্রত্যন্ত গ্রাম গুরুদায় অবস্থিত।

ব্যাঙ রান্না খেয়ে মুনা মুন্ডার ৬ বছর বয়সী মেয়ে সুমিত্রা মুন্ডা শুক্রবার গভীর রাতে কেওনঝার জেলা সদর হাসপাতালে মারা যায়। তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে মুনি কেওনঝার জেলার জোদা ব্লক এলাকায় এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থাও ভালো নয়।  

প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সপরিবার ব্যাঙ কারি খাওয়ার পর মুনা মুণ্ডার দুই মেয়ে বমি শুরু করে এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে। শুক্রবার সকালে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শুক্রবার রাতে সুমিত্রার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বামেবাড়ি থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

বামেবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ স্বরূপ রঞ্জন নায়ক বলেন, ময়নাতদন্তের পর শিশুর মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুরলার ভিএসএস ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ-এর কমিউনিটি মেডিসিন সহকারী অধ্যাপক সঞ্জীব মিশ্র বলেছেন, ব্যাঙটির প্যারোটিড গ্রন্থিতে নিজেদের শিকারিদের হাত থেকে বাঁচাতে বিষাক্ত পদার্থ থাকে। কেউ যদি এগুলি খায় তবে বিষ প্রভাবিত করতে পারে। একইভাবে, কিছু শ্রেণির ব্যাঙের ত্বকেও টক্সিন থাকে। বয়স্কদের কিছু না হলেও সেই বিষক্রিয়া সইতে পারেনি শিশুরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।