ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কাস্টমসের উৎকোচ দাবি

মেহেদিপুর সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য বন্ধের ডাক ভারতীয় ব্যবসায়ীদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
মেহেদিপুর সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য বন্ধের ডাক ভারতীয় ব্যবসায়ীদের

কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত): পশ্চিমবঙ্গের মালদহের মেহেদিপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধের ডাক দিয়েছে ভারতের ব্যবসায়িক সংগঠন ওসি অ্যান্ড এফ অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্যবাহি ট্রাক পাঠাতে হলে মেহেদিপুর সীমান্তের ভারতীয় কাস্টমস কর্মকর্তাদের ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার রুপি দিতে হয়।

বৈধ অনুমতি থাকা সত্বেও টাকা না দিলে ট্রাক চলাচলের অনুমতি দিচ্ছে ভারতীয় কাস্টমস। সেই সঙ্গে অর্থ না দিলে ভারতীয় কাস্টমস কর্মকর্তারা দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

এরই প্রতিবাদে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ডাক দিয়েছেন ওই জেলার ব্যবসায়ীরা।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেহেদিপুর কাস্টমসের সুপারিনটেনডেন্ট মৃদুল নস্কর। তার দাবি, কাস্টমসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মালদার জেলা প্রশাসক নীতিন সিংহানিয়া।

এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি হৃদয় ঘোষ বলেন, ভারতীয় কাস্টমসের কর্মকর্তারা হেনস্থা এবং  বৈধভাবে বাংলাদেশে পণ্য পাঠানোর সময় গাড়ি প্রতি ৫০০ রুপি করে দাবি করছে। না হলে বর্ডার পার করতে দেয় না। এ কারণে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য গাড়ি পারাপার বন্ধ রেখেছি।

পাশাপাশি তারা ঘোষণা করেছেন, মেহেদিপুর কাস্টমসের সুপারিনটেনডেন্ট মৃদুল নস্করকে যতক্ষণ না অপসারণ হবে ততক্ষণ কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে পাঠাবেন না।

মেহেদিপুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন প্রায় চার শতাধিক পণ্যবোঝাই লরি পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে আসে। ‘সুবিধা’ অ্যাপের মাধ্যমে স্লট বুক করে চলে রপ্তানি বাণিজ্য। কিন্তু, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সুবিধা অ্যাপের মাধ্যমে স্লট বুক করার পরও সীমান্ত পারের সময় ভারতীয় কাস্টমস কর্মকর্তারা ট্রাক প্রতি ৫০০ রুপি করে দাবি করেন। সেই অর্থ না দিলে বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না। উল্টে বিএসএফের ভয় দেখানো হয়।

এদেক হঠাৎ করে এই আমদানি-রপ্তানি বন্ধের কারণে, একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার। একইভাবে ট্রাক বন্ধ হওয়ার কারণে পচনশীল পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
ভিএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।