কলকাতা: ফের অ্যাডিনোভাইরাসে দুই শিশু মৃত্যু ঘটেছে কলকাতায়। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই শিশুর প্রাণ কাড়ল এই ভাইরাস।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ৯ মাসের একটি কন্যাশিশু অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
এর কয়েক ঘণ্টা পর রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বছর দেড়েকের এক শিশুর মৃত্যুর খবর আসে।
এ দুই খবরে অ্যাডিনোভাইরাসের আতঙ্ক বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের শহর থেকে জেলা সর্বত্রই ক্রমেই থাবা বসাচ্ছে এই ভাইরাস।
এর আগেও অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যু ঘটে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য মতে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ১৪ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। বেসরকারি মতে সংখ্যাটা আরও বেশি। বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।
শীতের বিদায়ে বসন্তের আগমনে ঠাণ্ডা-গরমের মেলবন্ধনে কমবেশি সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত হয় অনেকেই। কিন্তু চলতি মৌসুমে কলকাতায় এই ঠাণ্ডা-কাশির সঙ্গে দোসর হয়ে এসেছে প্রাণঘাতী অ্যাডিনোভাইরাস। যা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে শিশুদের মধ্যে।
শহরে বিভিন্ন শিশু হাসপাতালে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে। ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের ফুসফুস, এমনকী ফেটে যাচ্ছে ফুসফুসের প্রাচীর।
চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যাডিনো আক্রান্ত শিশুর উপসর্গ মূলত সর্দি-কাশি-জ্বরের সঙ্গে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ডায়েরিয়া, বমি, পেটব্যথা এবং ফুসফুসে সংক্রমণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। এক থেকে চার বছরের শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই ভাইরাসে।
শুধু শিশুরা নয় বাদ যাচ্ছেন না বয়স্করাও। বড়দের শ্বাসনালীর উপরিভাগ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। তারা হালকা জ্বর এবং মাথাচাড়া দিচ্ছে শুকনো কাশির সমস্যা। তাই বিপদ এড়াতে কোভিডের মতোই এক্ষেত্রেও মাস্ক পরার পাশাপাশি ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে অন্যান্য উপসর্গের কোভিড যেমন মারাত্মক আকার নিয়েছিল তেমনই সমস্যা বাড়াচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ