কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত): কলকাতার বাজার হোক কিংবা গ্রাম-মফস্বল নিস্তার নেই আমজনতার। রমজানে ইফতারের ফল কিনতে দামের জেরে পকেট পুড়ছে সবার।
ইফতারির বাজার করতে আসা আব্দুস সামি সেখ বলেন, এবারে বাজারে সব ফলের দাম বেশি। কিন্তু, অন্যান্য বছরের তুলনায় শসা এবং কলার দাম চোখে লাগছে। আগের বছরকেও ছাড়িয়ে গেছে। শসা, কলার সঙ্গে পাকা পেঁপের কেজি পৌঁছে গেছে ৭০ রুপিতে। আর আপেলের কেজি ২২০ রুপি।
সেই তুলনায় আঙ্গুরের দাম তুলনামূলকভাবে কম। এ বছর সবখানে আঙ্গুরের কেজিবিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ রুপি। এসবের মধ্যে ব্যতিক্রম শুধু তরমুজ। কিছুটা হলেও রোজাদারদের পকেটে সান্তনা দিচ্ছে এই ফল। অন্য বছরের থেকে তুলনামূলকভাবে এবারে তরমুজের দাম অনেকটাই কম। গত বছর যেখানে তরমুজের কেজি ৪০ থেকে ৫০ রুপি ছিল, সেখানে এবার পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০ রুপিতে। অঞ্চল বিশেষ ১৫ রুপি কেজিতেও তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। এমনই জানিয়েছেন নদিয়া জেলার পলাশী এলাকার বাসিন্দা মজিবর রহমান।
কলকাতার ফলের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মেছুয়া থেকে বিভিন্ন ফল খুচরা বাজারে বিক্রির জন্য কিনতে এসেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক ফল ব্যবসায়ী। তিনিও জানান, এবারে তরমুজের দাম অনেক কম। জোগানও হয়েছে ভালোই। সাধারণত রমজান মাসে তরমুজের দাম এত কম থাকে না। হুমায়ূন সেখ নামে আরেকজন ফল ব্যবসায়ী জানান মানুষ শসা ভুলে তরমুজের মন দিয়েছে। শসার দাম বেশি, তাই তরমুজটাই কিনছে।
কলা, শসার দাম যখন আকাশছোঁয়া তখন রমজান মাসে মানুষকে খুশির যোগান দিতে হাজির হয়েছে বাংলার তরমুজ। যদিও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ম্যাড্রাসি তরমুজ। বাংলার তরমুজের মতো বড় না হলেও খেতে সুস্বাদু। দাম প্রতি কেজি ৩০ রুপি। ফলে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে ইফতারের পাতে সাধারণকে অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে তরমুজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ১০ এপিল, ২০২৩
ভিএস/এমএমজেড