ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

নাগরিকত্ব নিয়ে ভয় পাবেন না, আসাম হতে দেব না: মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৩
নাগরিকত্ব নিয়ে ভয় পাবেন না, আসাম হতে দেব না: মমতা

কলকাতা: সামনেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারে আগে সংক্ষিপ্ত জেলা সফরে বেড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 
বৃহস্পতিবার (৪ মে) তিনি মালদহ কলেজের অডিটোরিয়ামে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলাকে নিয়ে একসঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে করেন। সেই বৈঠক থেকে ফের এনআরসি নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন প্রশাসনিক মঞ্চ থেকেই এক জনপ্রতিনিধি নাগরিকত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার জবাবেই মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, ওসব (নাগরিকত্ব) নিয়ে কাউকে ভাবতে হবে না। ওসব এখানে হবে না। আমি গ্যারেন্টার।  

তার স্পষ্ট বার্তা, পশ্চিমবঙ্গে কোনো এনআরসি হবে না। নাগরিকত্ব নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকুন। ভয় পাবেন না, আসাম হতে দেব না।  

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  এ কাগজ সে কাগজ খোঁজা হচ্ছে। কোনো কাগজ না থাকলেই আপনাকে বিদেশি বানিয়ে দেবে। ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে। যেভাবে আসামে করা হয়েছে। আমি এই কাজ এখানে হতে দেব না। তবে ভোটার তালিকায় নাম তোলার বিষয়ে সবাই সতর্ক করে দেন মমতা। সঙ্গে ১০ বছর অন্তর সকলকেই আধার কার্ড (জাতীয় পরিচয় পত্র) আপডেট করারও পরামর্শ দেন তিনি।

এর আগেও এনআরসি নিয়ে একাধিকবার বিরোধিতা করেছেন মমতা।  তিনি বারবারই বলেছেন, রাজ্য সরকার বাংলায় এনআরসি করতে দেবে না।  

তবে বৃহস্পতিবার সীমান্তবর্তী জেলা মালদহ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তা নিঃসন্দেহে বাড়তি তাৎপর্যের বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

প্রসঙ্গত, ভারতে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গেছে আসামের প্রায় ২০ লাখ (মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ) মানুষের নাগরিকত্ব প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তারা সরকারি কোন সুবিধা তো তারা পাচ্ছেনই না, উল্টে যে কোনদিন তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে এই আশঙ্কায় তাদের দিন কাটছে। ফলে তারা নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণে তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, তাতেও সব সময় সুরাহা হচ্ছে না।

ফলে এই মুহূর্তে প্রায় ২০ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব হারানোর আতঙ্কে ভুগছে। ইতোমধ্যে আসামে বহু মানুষ নিজেদের ভারতীয় প্রমাণ করতে না পারার কারণে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। ফলে তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। সরকার অবশ্য এই ক্যাম্পের পোশাকি নাম রেখেছে ‘ট্রানজিট ক্যাম্প’।

আতঙ্কে ইতোমধ্যেই বহু মানুষ আসাম ছেড়ে ভারতের অন্য রাজ্যে পালিয়েছে, আবার আত্মহত্যার খবরও সামনে এসেছে। আর সেই এনআরসি নিয়ে ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরব পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদাহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দাদের সেই এনআরসি বিষয় আশ্বস্ত করেছেন মমতা। বঙ্গবাসীদের নিশ্চিন্তে থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।