ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতার জেলে পি কে হালদারের ওপর হামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
কলকাতার জেলে পি কে হালদারের ওপর হামলা

কলকাতা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জেলে বন্দি পি কে হালদারের ওপর হামলা হয়েছে বলে আদালতে একটি পিটিশন জমা পড়েছে। এমনটা জানিয়েছেন তার আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না বিচারপতি।

আদালতে হালদারের আইনজীবী বলেছেন, জেল হেফাজতে থাকাকালীন পি কে হালদারের ওপর হামলা করা হচ্ছে। ফলে তার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

হালদারসহ তার ৬ সহযোগীকে আগামী ৭ জুলাই ফের আদালতে তোলা হবে। মঙ্গলবার (১৬ মে) কলকাতার নগর দায়রা আদালতের সিবিআই স্পেশাল কক্ষ-৩ এর বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাশে তোলা হলে বিচারক এই আদেশ দেন। এর আগে গত ২৮ মার্চ তাদের সবশেষ আদালতে তোলা হয়েছিল।

আদালতে হালদারের আইনজীবী মান্না বলেন, চলতি বছর ১৮ এপ্রিলের পর ২২ এপ্রিল দ্বিতীয়বার পি কে হালদারের ওপর হামলা করা হয়েছে। তাতে তার রক্তপাত হয়েছে। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ এই মুহূর্তে হামলাকারী এবং পি কে হালদারকে আলাদা সেলে রেখেছে। তবে কেন এই হামলা তা নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ তদন্ত চালাচ্ছে বলে পি কে হালদারের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, হামলাকারীর নাম হাফিজুল মোল্লা। গত বছরের ৫ জুলাই তাকে গ্রেফতার করেছিল কালীঘাট থানা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আচমকা ঢুকে পড়ায় হাফিজুল মোল্লাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি কারাগারে তাকে রাখা হয়েছে।

আরও জানা গেছে, গঙ্গার পাশে পাচিল টপকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দেওয়ালে একরাত লুকিয়ে ছিলেন হাফিজুল। ভোরের আলো ফুটতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। এ ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পরে অবশ্য পুলিশের তরফে জানা যায়, বসিরহাটের বাদিন্দা হাফিজুল মানসিক রোগী। তবে তার বাড়ি থেকে ১১টা সিম পাওয়া গিয়েছিল। যা নিয়ে পুলিশের সন্দেহ তৈরি হয়। তার বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে।

সেই হাফিজুল পি কে হালদারকে একাধিকবার হামরা করেছেন। হামলায় রক্তপাত হয় এবং পি কে হালদরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এমন গুরুতর অভিযুক্তের নিরাপত্তায় এত শৈথিল্য কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মঙ্গলবার বিচারক পি কে হালদারকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন, আপনি ঠিক আছেন তো? আপনাকে কি আলাদা সেলে রাখা হয়েছে? পি কে মাথা নাড়িয়ে ‘হ্যাঁ’-সূচক উত্তর দেন। এরপরই আদালত পরবর্তী শুনানির তারিখ ৭ জুন ধার্য করেন।

বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করে পি কে হালদারসহ তার ছয় সহযোগীকে গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর থেকে ভারতেই জেলে বন্দি রয়েছেন তারা। পি কে হালদার ও তার পাঁচ পুরুষ সহযোগীকে রাখা হয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে এবং তার নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা আছেন কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।