আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের জনজাতিদের ভাষা ককবরক লেখার ক্ষেত্রে রোমান হরফ ব্যবহার করার স্বীকৃতি দিতে হবে। এ দাবিতে আবারও সরব হয়েছে ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফেডারেশন (টিএসএফ)।
তাদের দাবি পূরণ না হলে, আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) আগরতলায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ হুঁশিয়ারি জানানো হয়।
ককবরক ভাষার নিজস্ব কোনো হরফ নেই, বর্তমানে বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় ককবরক ভাষা লিখতে হয় বাংলা হরফে। কিন্তু একাংশ ককবরক ভাষাভাষীদের দাবি হলো, বাংলা হরফে ককবরক লিখতে গেলে সমস্যা হয়। বাংলা ভাষায় ককবরক লিখলে উচ্চারণগুলো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয় না। অথচ দিনের পর দিন ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন সরকার ককবরককে বাংলা হরফে লিখতে বাধ্য করছেন।
টিএসএফের দাবি, সম্প্রতি রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহাও ককবরককে বাংলা হরফের লেখার পক্ষে কথা বলেছেন। কিন্তু ককবরক ভাষায় কথা বলা মানুষ এবং এই ভাষাভাষী শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে রোমান হরফে লেখার স্বীকৃতি দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) আগরতলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে টিএসএফের সাধারণ সম্পাদক হামলু জমাতিয়া এ দাবি জানান।
সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকার যদি তাদের দাবি না মানে, তাহলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন। শুধু রাজধানী আগরতলাতেই নয়, গোটা রাজ্যের প্রতিটি জেলাতে তারা আন্দোলন করবেন। সেই সঙ্গে তিনি তাদের অন্যান্য দাবি-দাওয়ার বিষয়ে এদিন কথা বলেন।
তাদের বাকি দাবিগুলো হলো-
-
রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় একটি মেডিক্যাল কলেজ এবং একটি নার্সিং কলেজ স্থাপন করতে হবে;
-
আগরতলা বিমানবন্দরের পুরাতন বিল্ডিংয়ে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিকের মূর্তি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই মূর্তিটিকে নতুন বিমানবন্দরে নিয়ে আসতে হবে;
-
প্রসাদের সামনে থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তি অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে এবং এখানে ত্রিপুরার রাজাদের মূর্তি স্থাপন করতে হবে। কারণ এই জায়গাটি ত্রিপুরার জন্য ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত।
এ দিনের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি সম্রাট দেববর্মাসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
এসসিএন/এনএস