ঢাকা, সোমবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

প্রতীচীতে ফিরে আহত মমতার খোঁজ নিলেন অমর্ত্য সেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
প্রতীচীতে ফিরে আহত মমতার খোঁজ নিলেন অমর্ত্য সেন

কলকাতা: প্রতীচীতে ফিরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজ নিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। শুভানুধ্যায়ীদের কাছে জানতে চাইলেন আহত মুখ্যমন্ত্রীর বর্তমান পরিস্থিতি কী।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফেরার সময়ে দুর্যোগের মধ্যে পড়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার জরুরি অবতরণ করানো হয়। হেলিকপ্টার বিভ্রাটে বাম হাঁটুর লিগামেন্ট ও হিপ জয়েন্টে আঘাত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার রাতেই কলকাতা থেকে সড়কপথে পৈত্রিক বাড়ি প্রতীচীতে ফিরেছেন অমর্ত্য সেন। বিদেশ থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে স্বভাবতই তিনি ক্লান্ত ছিলেন। কারো সঙ্গে কথা না বললেও, প্রতীচীতে তার অবর্তমানে প্রতিনিধিত্ব করেন গীতিকণ্ঠ মজুমদার।

তিনি জানান, এমনিতেই অধ্যাপক অমর্ত্য সেন কম কথা বলেন। তার ওপর শরীর ছিল ক্লান্ত। তবুও বাড়িতে পা রেখেই তার প্রথম কথা ছিল, ‘শুনেছ মমতা হেলিকপ্টারে আঘাত পেয়েছেন। খুবই চিন্তার কথা। ’ আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি খুবই স্নেহ করেন।

অপরদিকে, মমতাও বাড়তি নজর রাখেন অর্মত্যর বিষয়ে। বিশেষ করে বিশ্বরভারতীর সাথে জমি বিবাদের পর প্রতীচীর দিকে বেশি নজর রাখেন মমতা। অমর্ত্য সেনকে রাজ্য সরকারের তরফে জেড ক্যাটাগরির সিকিউরিটি দেওয়া হয়। প্রতীচীর বাড়িতে সিকিউরিটি সংখ্যা বাড়িয়ে দশ করা হয়েছে।

মূলত, অমর্ত্য সেন সারা বছর বিদেশে থাকলেও বছরে দু’বার অর্থাৎ ডিসেম্বর এবং জুলাই মাসে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। আর এবার তো ১৫ জুলাই, জমি সংক্রান্ত ১৩ ডেসিমেল জায়গা নিয়ে বীরভূম জেলার, সিউড়ি জেলা আদালতে অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতীর মামলার ফের শুনানি আছে।

উল্লেখ্য, একাধিকবার অমর্ত্য সেনকে ১৩ ডেসেমেল জমি দখল করে রেখেছেন এমনই অভিযোগ তুলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জমি ফেরত চেয়ে একাধিকবার চিঠিও দিয়েছে বিশ্বভারতী। কিন্তু, নোবেলজয়ীর এ বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াত পিতা আশুতোষ সেনের উইল অনুযায়ী, ১ দশমিক ৩৮ একর জমি অমর্ত্য সেনের নামে রেকর্ড করে দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা। সেই মতো বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর ওই জমি অমর্ত্য সেনের নামে রেকর্ড করে দিয়েছে।

স্থানীয় আদালত কী রায় দেয়, তাই এখন দেখার। যদিও অমর্ত্য মনে করছেন, এ সমস্যার সহজে সমাধান হবে না। তাই এ সংক্রান্ত মামলার জন্য হাইকোর্টে আবেদনও করেছিলেন তিনি। কিন্তু, কোর্ট জানিয়েছেন, স্থানীয় আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করা যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।