ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

ভারতকে নিয়ে কতটা ভাবছে বিএনপি, যা বললেন হানিফ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
ভারতকে নিয়ে কতটা ভাবছে বিএনপি, যা বললেন হানিফ

কলকাতা: বিএনপি ভারতকে নিয়ে কতটা ভাবছে বা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে? এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, সেটা তারাই বলতে পারবে। তাদের কথাবার্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেখা গেছে এই দলটা মূলত তৈরি হয়েছে আইএসআইয়ের মাধ্যমে।

বহুবার প্রমাণিত হয়েছে যে তারা পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে পাকিস্তানের হাইকোর্টে তৎকালীন তাদের গোয়েন্দা প্রধান একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলেছিলেন, তারা বিভিন্ন সময় বেগম খালেদা জিয়াকে, বিএনপিকে অর্থায়ন করেছে। সেই দলের কাছে ভারত সম্পর্কে কতটা আগ্রহ বা আন্তরিকতা থাকবে, সেটা ভারতই বিবেচনা করবে। এতে আমাদের কিছু বলার নেই।

রোববার (২৭ আগস্ট) কলকাতার রোটারি সদনে অনুষ্ঠিত ‘১৫ আগস্ট শোক হোক - শক্তির বুনিয়াদ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আ.লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমরা মনে করি, আমরা আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব সম্পর্ক থাকবে। বাংলাদেশের ক্ষমতার মালিক দেশের জনগণ। দেশের জনগণ যাদের পক্ষে থাকবে। তারাই জয়লাভ করবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জন্য কাজ করেছেন। তাই তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ফের নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসবে।  

চাল, চিনিসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর ভারত সরকারের শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলেন হানিফ।  

এ সংসদ সদস্য বলেন, কোনো দেশের রাষ্ট্রীয় নীতি কি হবে, সেটা সে দেশের সরকার ঠিক করবে। সে ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। কোনো যৌক্তিকতা নেই। কিন্তু যেহেতু একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র, সে হিসেবে আমরা মনে করি এই দুই দেশের মধ্যে যে সমস্ত পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়, সেসব পণ্য যাতে সহজে আমদানি-রপ্তানি করা যায় সেই দিকটি ভারত সরকার বিবেচনা করলে আমরা খুশি হব।

এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে বঙ্গবন্ধু কিংবা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে ভারতের স্কুলের পাঠ্য বইতে কোন বিষয়ে পড়ানো হবে সেটা সে দেশটার সরকারই ঠিক করবে বলে জানিয়েছেন হানিফ।  

এ বিষয়ে তিনি বলছেন, তবে আমরা মনে করি ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বিশেষ অবদান ছিল। ইতিহাসের এই অংশগুলো পাঠ্য বইতে আসা উচিত। একটি দেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আরেকটি দেশের জনগণের কি অবদান ছিল তা শিক্ষার্থীদের মানুষের জানানো উচিত। সেটা যদি না থাকে তবে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা।

বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রোটারি সদনে শ্রদ্ধা ও স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলকাতার ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘ।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।