কলকাতা: পর্দা নামল ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার। এাবের বেচাকেনায় বাড়বাড়ন্তে খুশি লেখক থেকে প্রকাশকরা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বইমেলার আয়োজক বুক সেলার্স এন্ড পাবলিসার্স গিল্ড -এর সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, আজ বাঙালির আরও এক বিজয়া দশমী। বড় বেদনার, আমরা সকলে বড় মর্মস্পর্শি। তবে শেষ হলেই আবার শুরু হয়। সেই অপেক্ষায় আমরাও রইলাম।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বলেছেন, আজকের পর যে ছন্দপতন ঘটল, এইজন্য কলকাতা বইমেলা শেষ দিনটাকে আমরা বলি মন খারাপের দিন। এবারের মেলায় আমরা প্রথমদিন থেকে লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশি বই কেনায় পশ্চিমবঙ্গের পাঠকের আগ্রহ আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। প্রথম দিন থেকেই পশ্চিমবঙ্গের পাঠকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এ বছর বইমেলায়, বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে অংশ নেওয়া প্রকশকরা অনেকটাই সফল হয়েছে। কলকাতার পাঠকরা যে বাংলাদেশি লেখকদের গ্রহণ করছে, যে ভালবাসা দেখিয়েছে, তা আমাদের জন্য অনেক ইতিবাচক দিক। তিনি জানিয়েছেন, এবারে যে পরিমাণে বেচাকেনা হয়েছে তাতে গতবারের থেকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বই বিক্রির সংখ্যাটা বাড়বে।
কলকাতা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দেও জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এবারে বই বিক্রির বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ এবং মানুষের সমাগম বেড়েছে ১৫ শতাংশের মত। তিনি বলেছেন এখনো পর্যন্ত আমরা যা হিসাব পেয়েছি, তাতে এবারের কলকাতা বইমেলায় ২৯ লাখ মানুষ এসেছেন। এবং আটাশ কোটি রুপির মতো বই বিক্রি হয়েছে। তবে বাংলাদেশের বইয়ের বিক্রির হিসাব পাইনি। তা পেলে সঠিক বই বিক্রি অঙ্কটা তখন বলতে পারব।
এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের পাশাপাশি অংশ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, ইতালি, থাইল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, পেরু, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, গুয়াতেমালা, মেক্সিকোসহ বিশ্বের মোট ২০টি দেশ। প্রায় ১২ বছর পর ফের বইমেলা অংশগ্রহণ করেছে জার্মানি। এছাড়াও ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা ও তিনশোর বেশি লিটল ম্যাগাজিন অংশ নিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভিএস/এমএম