কলকাতা: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ আরও উন্নত করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার মায়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ বন্দরের মধ্যে পণ্যবাহী নৌযান চালু হল। সোমবার(১২ ফেব্রুয়ারি) এর ট্রায়াল রান হয়।
এদিন(১২ ফেব্রুয়ারি) সংশ্লিষ্ট জেলার লালগোলার মায়া অভ্যন্তরীণ শুল্ক বন্দর থেকে এই ট্রায়াল রানের শুভ সূচনা করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এসময় ফ্ল্যাগ অফ ইভেন্টে, অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের বাণিজ্য সচিব মোঃ শামসুল আরিফ, ভারতীয় আন্তঃদেশীয় জলপথ কর্তৃপক্ষ (আইডব্লুএআই) এর চেয়ারম্যান বিজয় কুমার, আইডব্লুএআই'এর হাইড্রোগ্রাফি চিফ ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র কুমারসহ প্রমুখ।
ট্রায়াল রানে মায়া বন্দর হয়ে নৌ পথে পাথর(স্টোন চিপস) রপ্তানি হয় বাংলাদেশে। একই ভাবে বাংলাদেশ থেকে এই পথে ভারতে যায় পাট। বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে এই করিডোর নতুন দিশা দেখাবে। এই জলপথ দিয়ে উভয় দেশে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহন করা যাবে।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, এ বন্দর চালু হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও বাড়বে। ইমারতি দ্রব্য থেকে খাদ্যশস্যসহ প্রভৃতি সামগ্রী বাংলাদেশ যাবে। এত দুই দেশের কর্মসংস্থান আরও মজবুত হবে। যার জেরে উভয় দেশে অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর আরও উন্নতি হবে।
বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের বাণিজ্য সচিব মোঃ শামসুল আরিফ বলেছেন, ঐতিহাসিক এই রুট পুনরায় চালু হওয়ায় দুই দেশেই উপকৃত হবে। পরীক্ষামূলক যাত্রায় আমরা দেখতে চাইছি কার্গো শিপিং, লোডিং, আনলোডিং- সবক্ষেত্রে ঠিক কত সময় এবং খরচ লাগতে পারে।
মুলত, চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ভারতের পূর্বে নজর বাড়ানোর (লুক ইস্ট পলিসি) নীতি নিয়েছেন। তারই উদাহরণস্বরূপ এই পথে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল শুরু করল। আগামীতে এই জলপথ চালু হলে পশ্চিমবঙ্গের মায়া থেকে আরিচা হয়ে আসামের ধুবড়ি পর্যন্ত জলপথের দূরত্ব কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের মায়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ বন্দরের মধ্যে নদীপথের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। যার মধ্যে ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার নৌপথ ভারতে এবং বাকি ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার বাংলাদেশে মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ঘণ্টা, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভিএস/এমএম