কলকাতা: বাংলাদেশিদের ভারতীয় ভিসা হয়রানির প্রশ্নে বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, কিছুক্ষণ আগে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা যা বলেছেন তা বাস্তব সত্য বলেছেন। বহুবিধ কারণে বাংলাদেশিদের ভারতে যেতে হয়।
তিস্তা সমস্যা কবে মিটবে- উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এতদিন অপেক্ষা করেছেন, আর একটু অপেক্ষা করুন। ভারতের নির্বাচনটা শেষ হতে দিন। সব উত্তর পেয়ে যাবেন।
দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কী রকম সম্পর্ক হওয়া উচিত তার একটি রোল মডেল ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। এ সম্পর্ক আগের থেকে আরও মজবুত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে ‘ভারত বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন।
এর আগে অনুষ্ঠানে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, দুই দেশের ভিসা ব্যবস্থা আরও সহজ হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আমি মনে করি প্রচুর বাংলাদেশি চিকিৎসা ও লেখাপড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারতে আসেন। এখনের কথা আমি বলতে পারবো না। তবে আমি যখন ছিলাম তখন বছরে ৫ লাখ ভিসা থেকে ১৫ লাখে নিয়ে এসেছিলাম। এখন বিশ লাখ। তবে আমি মনে করি ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ হওয়া উচিত। এ নিয়ে কোনো বাংলাদেশির হয়রানি বা সমস্যা হওয়া উচিত নয়। দুই দেশে মানুষে মানুষে যোগাযোগ রাখার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
এদিনের অনুষ্ঠানে হর্ষবর্ধন শ্রিংলাসহ অংশ নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি তথা সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, অভিনেতা ও বিজেপি যুব সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, ভারতীয় পার্টের ইন্দো বাংলা ফ্রেন্ডশিপ তথা বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার, সহ-সভাপতি অধ্যাপক অয়নজিত সেন ও অধ্যাপক যীষ্ণু বসু।
পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মির্জা আজম এমপি, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নামিম এমপি, মহিউর রহমান শান্ত এমপি, সুজিত রায় নন্দী, শেখ ফজলে ফাহিম, ড. মোশায়েদ রহমান, বাংলাদেশ পার্টের ইন্দো বাংলা ফ্রেন্ডশিপের সাধারণ সম্পাদক সুমন হালদার ও কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
ভিএস/আরবি