দিল্লি থেকে: সকালটা ছিল না অন্য দিনের মতো। ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠা কিংবা শীতল জলে স্নান সব কষ্টই যেন ম্লান তাজমহলের সৌন্দর্যের কাছে।
ভারতে আসা বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেটসরা সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেখতে যান মুঘল সম্রাজ্যের অন্যতম দুই স্থাপনা তাজমহল ও আগ্রা ফোর্ট।
বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম এ তাজমহল সহিষ্ণু ভালোবাসার এক প্রতীক। সম্রাট শাহজাহান, তাঁর মৃত স্ত্রী মমতাজের স্মৃতিরক্ষার্থে নির্মাণ করেছিলেন এটি। সাদা মার্বেল পাথরের তৈরি স্থাপনাটিতে সমাধিস্থ করা হয় সম্রাজ্ঞীকে। মৃত্যুর পর সম্রাটকেও তাঁর স্ত্রীর পাশে সমাধিস্থ করা হয় এ তাজমহলেই। ভারতীয়, ফারসি ও ইসলামিক ভাস্কর্যের ছোঁয়া রয়েছে সমগ্র এই তাজমহলে ।
১৬৩২ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া মুঘল স্থাপনাটি কাজ শেষ হয় ২১ বছর পর ১৬৫৩ সালে। প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের পুরোনো এ স্থাপনায় এখন প্রকৌশলীরা খোঁজেন স্থাপত্য শিল্পের নানা খুঁটিনাটি।
বাংলাদেশ ডেলিগেশনে আসা উপেন্দ্র নাথ রয় নামে এক সদস্য বলেন, মুঘল আমলেও এমন স্থাপত্য শিল্পের চর্চা হত, তা আসলেই বিস্ময়কর। মহলের দেয়ালে প্রতিটি কারুকাজ নিঁখুতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যা এখনও প্রকৌশলীদের কাছে বিস্ময়।
শুধু তাজমহল নয়, আগ্রা ফোর্টেও রয়েছে মুঘল স্থাপত্য নির্মাণ শৈলীর ছোঁয়া।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য সুপা বড়ুয়া বলেন, মুঘল স্থাপনাগুলো ব্যতিক্রমী নির্মাণ শৈলী ও কারুকার্যের জন্য দর্শনার্থীদের মনে দাগ কাটে। এখানে না আসলে এমন সৌন্দর্য হয়তো দেখা হতো না।
তিনি বলেন, প্রতিটি স্থাপনা ভারত সরকার যেভাবে সংরক্ষণ করছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। বাংলাদেশে থাকা মুঘল স্থাপনাগুলোকেও এভাবে সংরক্ষণ করা উচিত।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের ১০০ তরুণের একটি প্রতিনিধি দল আসে দিল্লিতে। ৮ দিনের এ সফরে প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এছাড়াও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও সহকারী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবে প্রতিনিধি দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪
এমআর/পিডি/টিসি