কলকাতা: ভারতে পালিত হচ্ছে দোল উৎসব। রঙের উৎসবে শামিল হয়েছে বঙ্গবাসী।
দিনটিকে বসন্ত উৎসব হিসেবে বহুকাল ধরে পালন করে আসছে বঙ্গবাসী। শান্তিনিকেতন থেকে শহরের রাজপথে রঙের উৎসবে সামিল হয়েছে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ সবাই।
শহরের পথে পথে গান ধরেছেন শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তার অভিমত, রং যেন মানুষের মন রঙিন করে। যে যেই মতে বিশ্বাসী হোক না কেন বিপদে পাশে থাকতে হবে। মানুষ হিসেবে তার কর্তব্যগুলো করে যেতে হবে।
ভোটের ভারতে বাংলায় পালিত হচ্ছে দোল। রাজনীতির পতাকার রঙে যেন বাংলার মানুষ ভুল পথে চালিত না হয়, সেই বার্তাও দিলেন অধ্যাপক ইমানুল হক। তিনি বলেন, দোলের মধ্য দিয়ে মনে রং লাগুক। লাল, সবুজ বা গেরুয়ায় মন রঙিন হয়ে উঠুক। কিন্তু রাজনীতির রঙে নিজেদের রাঙিয়ে তুলবেন না। রঙে ভোট দিন, কিন্তু তাতে বিভাজন বা ধর্মীয় ভাবাবেগ যেন না থাকে।
প্রায় দুই হাজার বছর আগে বৃন্দাবনে এই উৎসবের প্রচলন ছিল। মহাকবি কালীদাসের ঋতুসংহার কাব্যে রঙের মাধ্যমে বসন্ত উৎসবের বর্ণনা রয়েছে।
বৈষ্ণব ভাবধারার বিশ্বাস অনুযায়ী, দোল পূর্ণিমার দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধার সঙ্গে রঙের খেলায় মেতেছিলেন। আর সেই কারণে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ-শ্রীরাধার দোলযাত্রা উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু।
বাংলায় দোল উৎসবের সূচনা করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯২০ সালে শান্তিনিকেতনে তিনি দোলযাত্রা উৎসবের সূচনা করেন। তবে, তা দোল উৎসব হিসেবে নয়। ছিল বসন্ত উৎসব হিসেবে পরিচিত।
তবে সব ভুলে কলকাতাবাসী মনের রঙের সাথে আজ রং মিলিয়ে দিতে চাইছে। প্রার্থনা একটাই, অন্ধকার ঘুচে সবার মনে লাগুক রঙের ছোঁয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
ভিএস/এমজেএফ