আগরতলা(ত্রিপুরা): স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করলো স্বামী। শনিবার গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার অন্তর্গত ইরানি থানার খিলেরবন্দ এলাকায়।
রোববার(১৯ মে) সকালে ঘটনা জানাজানি হতেই ঘটনা স্থলে ছুটে যান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জয়ন্ত কর্মকার, ইরানি থানার ওসি যতীন্দ্র দাস ও ফরেন্সিক টিমের সদস্যরাসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী তৌর আলী পলাতক।
পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান শুরু করেছে। কৈলাসহর লাটিয়াপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তৌর আলী। সে প্রায় ২০বছর আগে ধলিয়ারকান্দি এলাকার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত গৌস আলির মেয়ে মিসরা বেগমকে বিবাহ করেন। বর্তমানে তাদের তিন পুত্র সন্তান রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে শনিবার রাত আনুমানিক তিনটা নাগাদ ঘরের মধ্যে তৌর আলী ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তার স্ত্রী মিসরা বেগমকে হত্যা করেছে।
অভিযোগ রয়েছে, মিসরা বেগমকে তার বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেবার জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করতো তৌর আলী। ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে এসে কিছু আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ময়না তদন্তের পর তার মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
গত কিছুদিন পূর্বে তৌর আলীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মিসরা বেগম তার বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিল, কিন্তু সেখান থেকে তৌর একপ্রকার জোর করে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে বলেও অভিযোগ। বাড়িতে আনার পর থেকেই মিসরা বেগমের উপর চলে ফের অকথ্য নির্যাতন। তৌর আলী ফের দাবি করে তার স্ত্রী যেন বাপের বাড়ি থেকে তাকে টাকা এনে দেয়। এনিয়ে শনিবার রাতে তৌর আলী ও তার স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক সময় তৌর আলী ক্ষুব্ধ হয়ে তার স্ত্রীকে ধারালো দা দিয়ে মাথায় এবং গলায় কোপ বসিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তৌর আলীর স্ত্রী মিসরা বেগম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এমনই অভিযোগ করেছেন মিসরা বেগমের ভাই। এলাকাবাসীর দাবি তৌর আলীকে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করেছে ইরানি থানার পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা,মে ১৯, ২০২৪
এসসিএন/এমএম